ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। টিকিট বিক্রির দ্বিতীয় দিনেও কমলাপুর রেলস্টেশনে ভিড় জমিয়েছেন টিকিট প্রত্যাশী হাজার হাজার মানুষ।
যাত্রীরা নিজেদের মধ্যে বিশৃঙ্খলতা এড়াতে সিরিয়াল অনুযায়ী টোকেনের ব্যবস্থা করেছে।আজ (শনিবার) দেয়া হচ্ছে ১১ জুনের আগাম টিকেট। নির্ধারিত সময় সকাল ৮টা থেকে টিকিট বিক্রির কাউন্টার খুলেছে। আর টিকিট প্রত্যাশীরা লাইনে এসে দাঁড়িয়েছেন এক দিন আগে থেকে।
মোট ২৬টি টিকিট কাউন্টারের প্রতিটির সামনেই টিকিট প্রত্যাশীদের রয়েছে দীর্ঘ সারি। যা কাউন্টারের সামনে থেকে একদম পিছনের দিক হয়ে এঁকেবেঁকে মানুষের লাইন চলে গেছে বাইরে। এই সারিতে যোগ দিতে অনেকেই এসেছেন মধ্যে রাতে, আবার অনেকে সেহরির পরে এসে নিজেকে যুক্ত করেছেন এই সারিতে।
অনেকে বক্সে খাবার এনে এখানেই সেরে নিয়েছেন সেহরি।আবার অনেকে দীর্ঘ সময় পাশের মানুষগুলোর সঙ্গে গল্প করে, পত্রিকা বিছিয়ে অথবা তাস খেলে সময় কাটিয়েছেন। সময় কাটানোর সেই ক্ষণগুলোতেও প্রতিনিয়ত লাইনে যুক্ত হয়েছেন নতুন করে আসা টিকিট প্রত্যাশীরা।
ফলে ধীরে ধীরে আরও দীর্ঘ হয়েছে টিকিট প্রত্যাশীদের সারি। সবার তখনও অপেক্ষা কখন বাঁজবে ৮টা। কারণ ওই সময় থেকে স্টেশনের ২৬টি কাউন্টারে টিকিট বিক্রি শুরু হবে।যশোরের আলমডাঙা যাওয়ার জন্য টিকিট নিতে এসেছিলেন এমডি শাকিল নামের এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র।
শাকিল বলেন, গতকাল কাল দুপুর থেকে লাইনে ছিলাম। সুন্দরবন এক্সপ্রেসের দুটি টিকিট পেয়েছি।পুরুষের চেয়ে নারীদের জন্য নির্ধারিত লাইনের যাত্রীরা টিকিট পাচ্ছেন সহজে। ভিড় তুলনামূলক কম থাকায় ভোরে এসে লাইনে দাঁড়ালেও সহজেই টিকিট মিলছে।রাজশাহী যাওয়ার জন্য সিল্কসিটি এক্সপ্রেসের টিকিট নিতে লাইনে শনিবার ভোর চারটায় এসেছিলেন গৃহিনী শাহিনা।
তিনি বলেন, টিকিট পেতে কোনো সমস্যা হয়নি। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতেও কোনো সমস্যা হয়নি।এদিকে, টিকেট কালোবাজারি ও বিশৃঙ্খলা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্কভাবে কাজ করছে। অগ্রিম টিকিট বিক্রি চলবে ৬ জুন পর্যন্ত। শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি।
৩ জুন দেয়া হবে ১২ জুনের টিকিট, ৪ জুন ১৩ জুনের টিকিট, ৫ জুন ১৪ জুনের টিকিট এবং ৬ জুন ১৫ জুনের টিকিট।রাজধানীতে কয়েকটি স্পটে টিকিট বিক্রি করলে ও অনলাইনে টিকিটের সংখ্যা বাড়ালে ভোগান্তি আরো কমত বলে মনে করেন যাত্রীরা।