আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে সেমি-ফাইনালে রূপ নেওয়া ম্যাচেও ইমরুল খেলবেন ছয় নম্বরে। শাদাবের কথা ভেবেই বদলানো হচ্ছে না ইমরুলের ব্যাটিং অর্ডার।
তার মূল কাজ ওপেনিং। হুট করে উড়িয়ে আনা হয়েছে ওপেনিং সমস্যা সমাধানের সম্ভাব্য সমাধান হিসেবে। কিন্তু দুবাইয়ে আসার পর বদলে গেল ভূমিকা। তাতে ইমরুল কায়েস এতটাই সফল যে পরের ম্যাচেও পাচ্ছেন একইরকম দায়িত্ব। রশিদ খানকে সামলানোর পর এবার ইমরুলের চ্যালেঞ্জ শাদাব খানের লেগ স্পিন সামলানো।
লেগ স্পিনে বাংলাদেশের দুর্বলতা বরাবরের। রশিদের মতো সাড়া জাগানিয়া পারফরম্যান্স না হলেও শাদাবও বেশ কার্যকর লেগ স্পিনার। ক্রমেই পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছেন ১৯ বছর বয়সী এই স্পিনার। রশিদকে আগের ম্যাচে যেভাবে খেলেছেন ইমরুল, তাতে শাদাবের জন্যও তার ওপরই ভরসা রাখছে দল।
ইমরুলের এই চ্যালেঞ্জ জয়ী পারফরম্যান্সে মুগ্ধ বাংলাদেশ কোচ স্টিভ রোডস। কৌশলটা কাজে লেগে যাওয়ায় ছিলেন উচ্ছ্বসিত।
“কাজটা কঠিন ছিল ওর। আচমকা এসে ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় খেলতে নেমে যাওয়া, সহজ ছিল না। কঠিন দায়িত্বও দিয়েছিলাম ওকে আমরা, রশিদ খানকে সামলানো। সে যেভাবে খেলেছে, মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে জুটি ছিল দুর্দান্ত।”
“কৌশলটা কাজে লেগে গেছে। দেশের হয়ে কী দারুণ ভূমিকাই না পালন করেছে ইমরুল! আমি নিশ্চিত, দেশে অনেকেই খুশি তার পারফরম্যান্স দেখে।”
ওপেনিংয়ে বিকল্প হিসেবে উড়িয়ে আনা হলেও আফগানিস্তানের বিপক্ষে ইমরুলকে ছয়ে খেলানোর ভাবনা আসে মাশরাফি বিন মুর্তজার মাথায়। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের নেটে রশিদকে খেলা, তার অভিজ্ঞতা এবং বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে রশিদের খানিকটা অস্বস্তির কথা ভেবে এই প্রস্তাব রাখেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। টিম ম্যানেজমেন্টের সায়ও মেলে।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেই ম্যাচে প্রথমবারের মতো তিন নম্বরের নিচে খেলে ইমরুল খেলেন অপরাজিত ৭২ রানের দারুণ ইনিংস। রশিদের ২৫ বল খেলে নিয়েছিলেন ১৭। অস্বস্তিতে পড়তে হয়নি খুব একটা।