৫ উইকেটে ১৯৭ তোলা বাংলাদেশ যে ২৩৯ রানে অলআউট হয়ে গেল! ৪১.৪ ওভারে মুশফিক যখন ফিরলেন, দলের স্কোর তখনো ৬ উইকেটে ১৯৭। চ্যালেঞ্জিং স্কোর পাওয়ার সম্ভাবনা তখনো শেষ হয়ে যায়নি। মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে আজ বিদ্যুৎ চমকায়নি, মেহেদী মিরাজ ছোট কাঁধে বড় দায়িত্ব নিতে পারেননি। মাশরাফি বিন মুর্তজা তাঁর ঝোড়ো ব্যাটিং-সত্তাকে ফিরিয়ে আনতে পারেননি। শেষ ৫০ বলে বাকি ৪ উইকেটে তাই ৪২ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ । স্লগ ওভারটা ভালোভাবে কাজে না লাগাতে পারার আফসোস, মুশফিকের সেঞ্চুরি হাতছাড়া হওয়ার আফসোস, সম্ভাবনা জাগিয়েও ২৬০-এর লক্ষ্য দিতে না-পারা…তার অনেকটাই ভুলিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের বোলাররা। মোস্তাফিজের জোড়া আঘাতে কাঁপছে পাকিস্তান। ১৮ রানে হারিয়েছে ৩ উইকেট।
১২ রানে ৩ উইকেট হারানোর ধাক্কা মুশফিক-মিঠুনের ১৪৪ রানের জুটিতে সামলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। তবুও ৫ উইকেটে ১৯৭ থেকে শেষ পর্যন্ত ২৩৯ রানে অলআউট! বাংলাদেশের বোলাররা অবশ্য দারুণ শুরু এনে দিয়েছেন। ১৮ রানে নেই ৩ উইকেট
পাঁজরের চোটটা আছে। ব্যথানাশক ইনজেকশন নিয়ে সেই চোট কোনোভাবে সামলে যাচ্ছেন। কিন্তু কন্ডিশনকে বাগে আনার যে কোনো উপায় নেই। মরুর মাঝে তীব্র গরমে মুশফিকুর রহিম কখনো কখনো ভীষণ হাঁপিয়ে উঠছেন। মাংসপেশিতে টান পড়েনি তো—মুশফিকের ক্লান্তিমাখা মুখটা কখনো এমন সংশয়ও জাগিয়ে তুলছে! ফিজিওর সাময়িক শুশ্রূষা নিয়ে আবারও উঠে দাঁড়াচ্ছেন। মুশফিক এভাবেই উঠে দাঁড়ান, উঠে দাঁড়িয়েছেন অতীতে। দল যত চাপে, তাঁর ব্যাট ততই হয়ে ওঠে চওড়া। চাপের মধ্যে মুশফিক আজও লড়লেন। কিন্তু সেই লড়াইয়ের সমাপ্তি হলো বড় আফসোস নিয়ে। মুশফিক ফিরলেন ৯৯ রানে!
পেরেও না-পারার যন্ত্রণা মুশফিককে পোড়াবে। আরও বেশি পোড়াবে দলের শেষ স্কোরটার চেহারা দেখে।