অঘোষিত সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে ৩৭ রানে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ।বিতরণী অনুষ্ঠানে রমিজ রাজা শুভকামনা জানালেন পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদকে, ‘ঘরে ফেরাটা নিরাপদ হোক।’ রমিজ আর কী বলতে পারেন, পাকিস্তান যে এশিয়া কাপ ফাইনালের ‘দর্শক’!
টুর্নামেন্ট থেকে এভাবে বিদায় নিতে কার ভালো লাগে! সরফরাজেরও ভালো লাগছে না। বাংলাদেশের কাছে হেরে পাকিস্তান অধিনায়কের মনটা খুব খারাপ, ‘একেবারে ভালো লাগছে না। পারফরম্যান্স ভালো ছিল না। অধিনায়ক হিসেবে আমি নিজেই ভালো করতে পারিনি। দল হিসেবে ভালো করিনি। আমি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারিনি।’
আরব আমিরাতকে অনেক দিন ধরে ঘরের মাঠ হিসেবে ব্যবহার করছে পাকিস্তান। কন্ডিশনের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি পরিচিত তারাই। স্বাভাবিকভাবে অনেক ক্রিকেট বিশ্লেষক এবারের এশিয়া কাপে ফেবারিট হিসেবে পাকিস্তানের নাম বলেছিলেন। অথচ ফল হয়েছে উল্টো। ফাইনালেই উঠতে পারেনি পাকিস্তান। আজ আবুধাবিতে বাংলাদেশের কাছে ৩৭ রানে হেরে এশিয়া কাপ থেকে বিদায় সরফরাজদের।
ভালো করেননি বলে দল হেরেছে। দল হেরেছে বলে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে। কদিন আগে অস্ট্রেলিয়া-জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুর্দান্ত খেলা পাকিস্তানের এই ত্রাহি দশা হলো কীভাবে, সেটিও ব্যাখ্যা করলেন সরফরাজ, ‘আমরা ভালো ফিল্ডিং করেনি, ব্যাটিং-বিপর্যয় হয়েছে। দল হিসেবে কোনো বিভাগেই ভালো করিনি। ফখর আমাদের মূল খেলোয়াড় ছিল। শাদাব-নওয়াজের ভালো সুযোগ ছিল। ভালো দলের বিপক্ষে জিততে হলে আমাদের ভালো খেলা দরকার। ব্যাটিং-বিপর্যয় আমাদের অনেক ভুগিয়েছে।’
সরফরাজ যখন রমিজের সঙ্গে কথা বলছেন, অদূরে দাঁড়িয়ে মাশরাফি বিন মুর্তজা। সরফরাজের ব্যর্থতার জবাব কিন্তু বাংলাদেশ অধিনায়কের মধ্যে লুকিয়ে—দলের সাফল্য এনে দিতে হলে নেতৃত্ব দিতে হবে সামনে থেকে
এর আগে ১২ রানে ৩ উইকেট হারানোর ধাক্কা মুশফিক-মিঠুনের ১৪৪ রানের জুটিতে সামলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। তবুও ৫ উইকেটে ১৯৭ থেকে শেষ পর্যন্ত ২৩৯ রানে অলআউট!
জবাবে পাকিস্তান ২০২/৯ তে থেমে যায়।