ছিনতাই, ডাকাতির অভিযোগে কয়েদি রামচন্দ্রকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। প্রায় বছরখানেক ভারতের কারাগারে বিচারাধীন বন্দী হিসেবে রাখা হয় তাকে। ভিনরাজ্যের বাসিন্দা রামচন্দ্র। অভিযোগ রয়েছে, তিনি পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে গোপনে মোবাইল ফোনে কথা বলতেন।
কারাগারে বন্দিদের হঠাৎ করেই তল্লাশি শুরু করে কর্তৃপক্ষরা। কারাগারের ভেতরে চলছিল তল্লাশি। ঠিক এমন সময় এক পুলিশের চোখে পড়ল এক কয়েদি ফোন ব্যবহার করছে। তাকে ধরতে গেলে সে দৌড়ে পালালেও, পরে তাকে ধরা হয় এবং চেক করে তার কাছে কোন ফোন না পেয়ে অবাক হয়ে যান পুলিশ সদস্যরা। পরে এক্স-রে করে তার পাকস্থলীতে মোবাইল ফোনটি ধরা পড়ে।
রামচন্দ্র জানিয়েছেন, ধরা পড়ার ভয়ে তিনি ফোনটি গিলে ফেলেছিলেন।
কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, বিকেলের দিকে পেটে তীব্র যন্ত্রণা শুরু হয় রামচন্দ্রের। তাকে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। সেখানে এক্স-রে করে ধরা পড়ে মোবাইল ফোনটি পাকস্থলীর নিচের অংশে আটকে রয়েছে। ঘণ্টাখানেক পর্যবেক্ষণে রেখে সন্ধ্যায় তাকে কারাগারে ফিরিয়ে আনা হয়। রাতে এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে তাকে ভর্তি করানো হয়।