টানা দুই মৌসুম বাইরে থাকার পর প্লে-অফে চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইতালিকে হারিয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপের টিকিট পায় সুইডেন। শুধু তাই নয়, দ্বিতীয় রাউন্ডে শক্তিশালী সুইজারল্যান্ডকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ‘সোনালী প্রজন্মের’ তকমা পাওয়া সুইডিশরা।
এমিল ফরসবার্গের দুর্দান্ত এক গোলে মঙ্গলবার (৩ জুলাই) রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে বিশ্বকাপ ফুটবলের ২১তম আসরে সুইজারল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়ে শেষ আটে উঠে গেছে সুইডেন।এদিন ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল সুইডেন। কিন্তু তা কাজে আসেনি। সপ্তম মিনিটে আবার আক্রমণ করে তারা। অস্টম মিনিটে সহজ গোলের সুযোগ মিস করেছে সুইডেন। ২৪ মিনিটে সুইসদের আক্রমণ গোল খেতে বসেছিল সুইডেন।
২৮ মিনিটে সুযোগ পায় সুইজারল্যান্ড। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি সে সুযোগ। ৩৪ মিনিটে গোল মিস করে জাকা মাথায় হাত তুলেছেন। ৩৮ মিনিটে প্রথমার্ধের সেরা সুযোগটি পায় সুইডেন। পায়ের টাস দিয়ে গোল করতে চেয়েছিলেন সুইডেন ফুটবলার। কিন্তু হেড দিলে হয়তো গোল পেয়ে যেতেন তিনি। প্রথমার্ধে কোন গোল করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত গোল শূন্য সমতা নিয়ে শেষ করে দু’দল।
দ্বিতীয়ার্ধের ৬৬ মিনিটে এগিয়ে যায় সুইডেন। এমিল ফরসবার্গের ডান পায়ে নেয়া জোরালো শট, থামাতে গিয়ে আত্মঘাতী গোল খেয়ে বসে সুইজারল্যান্ড। আর তাতেই ১-০ ব্যবধানে লিড পায় সুইডিসরা। ব্যকফুটে চলে গিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর প্রবল বিক্রমে ঝাঁপিয়ে পড়ে সুইজারল্যান্ড। একের পর এক আক্রমণ হানতে থাকেন শাকিরি-জাকারা। তবে স্বার্থ হাসিল হয়নি। তাই শেষ পর্যন্ত ফরসবার্গের গোলে ভর করেই শেষ আটে পৌঁছে গেছে সুইডিশরা। আর স্বপ্ন ভঙের বেদনায় নীল হয় সুইসরা। দীর্ঘ ৬৪ বছর কোয়ার্টারে খেলার স্বপ্নভঙ্গ হয় তাদের।
১৯৫৮ বিশ্বকাপের আয়োজন করে ফাইনাল খেলেছিল সুইডেন; কিন্তু পেলে-ব্রাজিলের কাছে হেরে বিশ্বকাপ শিরোপাটা অধরাই থেকে যায় তাদের। তিনবার খেলেছে সেমিফাইনাল; কিন্তু খুব বেশিদুর এগিয়ে যেতে পারেনি তারা। শুধু তাই নয়, ২০১০ এবং ২০১৪ বিশ্বকাপে খেলারও যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি সুইডিশরা।