স্টাফ করেসপন্ডেন্ট: দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার পাংশা উপজেলা প্রতিনিধি রাসেলকে হত্যার হুমকি দিয়েছে উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদ হোসেন ওয়াদুদ ও তার দুই ভাই।
বুধবার (৪ জুৃলাই ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এ হয়রানির প্রতিবাদ জানিয়েছে সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি।
এ বিষয়ে রাসেল পাংশা থানায় জিডি করলে থানা কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে তাকে। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, টিআর কাবিখা ও কর্মসৃজন প্রকল্পে লুটপাট ও আত্মসাৎ বিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশ করায় পাংশা উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদ হোসেন মন্ডল তার ভাই জলসা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিদ্দিক মণ্ডল ও অপর ভাই পাংশা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইদ্রিস মণ্ডল রাসেলকে মোবাইল ফোনে হত্যার হুমকি দেয়।
অন্যদিকে রাজবাড়ী জেলা বিএনপি’র নেতা উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ খালেক একের পর এক সরকারী খাস জমি ও কো-অপারেটিভ সোসাইটির সম্পদ লুটপাট করার প্রতিবাদ করায় বিএনপি নেতার নিকট আত্মীয় রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক উদ্দেশ্যমূলকভাবে জেলা প্রশাসনের টিম গঠন করে রাজবাড়ী জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাপ্তাহিক অনুসন্ধান পত্রিকায় বাবু মল্লিককে হয়রানি করছেন এবং তার পত্রিকাটি বন্ধ করে দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।
বক্তারা বলেন ,আমরা সাংবাদিকরা রাসেলকে বাঁচাতে অনতিবিলম্বে সন্ত্রাসী ওয়াদুদ মণ্ডল ও তার ভাই সিদ্দিক মণ্ডল এবং ইদ্রিস মণ্ডলসহ তাদের বাহিনীর অস্ত্রবাজ ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার দাবি করছি।
একই সাথে রাজবাড়ী জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি বাবু মল্লিককে হয়রানি না করার জন্য আহবান জানাচ্ছি না হলে পরবর্তীতে আমরা দেশব্যাপী জোরালো আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবো আমরা বিশ্বাস করি প্রশাসন ও ক্ষমতাসীন দলে অনুপ্রবেশকারী কতিপয় দলীয় হাইব্রিড নেতা ও আমলারা সুকৌশলে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকারের সুনাম ক্ষুণ্ন করছে আমাদের কাছে খবর আছে আনসার অধীর মন্ডল যেমনভাবে গোপনে ঢাকায় এসে পাংশার বিএনপি নেতা তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী চাঁদার সঙ্গে গোপন বৈঠক করেন একইভাবে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের ঘনিষ্ঠও পরামর্শদাতা হয়ে উঠেছেন বিএনপি নেতা এম এ খালেক তাই সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ ও সজাগ হওয়ার আহ্বান জানান।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন গাজি টিভির প্রধান প্রতিবেদক রাজু আহমেদ,সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম সবুজ, শফিকুল ইসলাম, আছাদুজ্জামান প্রমুখ।