গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি :ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দ্বিতীয় দিনেও গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় গোবরা গ্রামবাসীদের সাথে দফায় দফায় সংঘর্ষে ৫ পুলিশসহ অন্ততঃ ২৫জন আহত হয়েছে।
এসময় সংঘর্ষ থামাতে ব্যাপক পরিমান টিয়ার সেল ও শর্ট গানের গুলি বর্ষন করে। বুধবার রাতে প্রায় তিন ঘন্টা ধরে চলা সংঘর্ষেও আরো ২৫জন আহত হয়েছিলেন।
আজ বৃহস্পতিবার ও গতকাল বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাস্পাসসহ এর আশপাশের এলাকায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সাথে স্থানীয় বহিরাগতদের সাথে এ সংঘর্ষ হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানাগেছে, গতকাল বুধবার রাতে স্থানীয়দের সাথে সংঘর্ষের জের ধরে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা।
এসময় ক্যাম্পাসের সামনের সড়কের উপর দু’টি দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয় শিক্ষার্থীরা। এ খবর গ্রামবাসীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের চেষ্ঠা করতে গেলে শিক্ষার্থী, গ্রামবাসী ও পুলিশের সাথে ত্রিমুথী সংঘর্ষ বাধে। এসময় পুলিশ ব্যাপক পরিমান টিয়ার সেল ও শর্ট গানের গুলি বর্ষন এবং লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীর ছোড়া ইটের আঘাতে গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলামসহ ৫ পুলিশ সদস্য ও ২০ শিক্ষার্থী-গ্রামবাসী আহত হন। আহতদের গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালসহ স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র মোঃ নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, শুধু ফুটবল খেলাকে নিয়ে নয়, পুকুর পাড়ে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন নারী শিক্ষার্থীদের বহিরাগতরা উত্তোক্ত করে।এই দুই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই বুধবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল।
অবশ্য দায়িত্ব নিয়ে এ বিষটির ব্যাপারে না ছাত্র না গ্রামবাসী কেউ মুথ খুলছেনা।
উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সন্ধৗ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত তিন ঘন্টাব্যপী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এসময় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দুটি মটর সাইকেল ও ২৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর চালিয়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাস্পাসসহ পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেয়।
গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো: সানোয়ার হোসেন জানান, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিশ্ববিদ্যালয় ও গোবরা গ্রামের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।