বিশ্বকাপের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনাল জিতে নিল ফ্রান্স। কাভানিহীন উরুগুয়েকে ২-০ গোলে হারিয়ে শেষ চারে এমবাপ্পে-গ্রিজম্যানরা। সৌজন্য রাফায়েল ভারানের দুর্দান্ত হেড, গোলরক্ষক লরিসের দুর্দান্ত সেভ।
অন্যদিকে, উরুগুয়ের গোলরক্ষক ফার্নান্ডো মুসলেরার ভুলের জন্য দ্বিতীয় গোলটি উপহার পেলেন গ্রিজম্যান। এই জয়ের ফলে ২০০৬ বিশ্বকাপের পর এই প্রথম কোয়ার্টারের গণ্ডি পেরোলো ৯৮’-এর চ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাচ শুরুর আগেই অবশ্য অ্যাডভান্টেজ পেয়ে গিয়েছিল ফ্রান্স। চোটের জন্য এদিন দলের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার কাভানিকে ছাড়াই নামতে হয়েছিল উরুগুয়েকে।
গোটা বিশ্বকাপে বিপক্ষের রক্ষণের ত্রাস ছিল সুয়ারেজ-কাভানি জুটি। এই জুটি ভেঙে যাওয়ায় চেনা ছন্দ দেখা গেল না তাবারেজের আক্রমণভাগকে। হতাশ করলেন সুয়ারেজও। শুরুর দিকে অবশ্য ফ্রান্সের তরুণ আক্রমণভাগকেও ছন্দহীন মনে হচ্ছিল। ১৫ মিনিটের মাথায় সহজ সুযোগ মিস করা ছাড়া প্রথমার্ধে তেমন কিছু করতে পারলেন না আর্জেন্টিনা ম্যাচের নায়ক এমবাপ্পেও। প্রায় মিনিট চল্লিশেক ম্যাচ ছিল নির্বিষ।
ছবিটা বদলালো ৪০ মিনিটে। গ্রিজম্যানের ফ্রি কিক থেকে দুর্দান্ত ক্ষিপ্রতায় হেডার দিয়ে ফ্রান্সকে এগিয়ে দিলেন সেন্টার-ব্যাক রাফায়েল ভারানে। ভারানের গোলের পরই যেন নতুন করে প্রাণ পেল বিশ্বকাপের সেমিতে যাওয়ার লড়াই। বিশ্বকাপে প্রথমবার পিছিয়ে পড়ার পর আক্রমণের গতি অনেকটা বাড়িয়ে দিল উরুগুয়ে।
৪৩ মিনিটে ফ্রান্সের গোলরক্ষক তথা অধিনায়ক হুগো লরিস দুর্দান্ত সেভ না করলে হয় প্রথমার্ধেই সমতা ফিরিয়ে ফেলত উরুগুয়ে। কিন্তু ক্যাসেরাসের হেডার দুর্দান্ত দক্ষতায় বাঁচিয়ে সেযাত্রা ফ্রান্সের লিড রক্ষা করলেন লরিস। লরিসের এই সেভকে বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা সেভ বললে বোধহয় ভুল বলা হবে না।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই ছন্দহীন ফুটবলই উপহার পেলেন দর্শকরা। সুয়ারেজ-স্টুয়ানিরা আক্রমণ গড়ে তোলার চেষ্টা করলেও ফরাসি রক্ষণকে টলাতে পারলেন না তারা। উল্টো গোলরক্ষক মুসলেরার বিশ্রী ভুলের জন্য একটি গোল হজম করতে হল দু’বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। ৬১ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি বক্সের বেশ খানিকটা দূর থেকে গ্রিজম্যানের নেওয়া শট একেবারে হাতে এসে পড়ে মুসলেরার। কিন্তু উরুগুয়ের অভিজ্ঞ গোলরক্ষক সেই বলের গতি আন্দাজ করতে পারেননি। তাঁর এই ভুলেরই খেসারত দিতে হলো উরুগুয়েকে। ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর যে মানসিকতা প্রয়োজন তা এদিন দেখাতে পারলেন না সুয়ারেজরা।
রাশিয়া বিশ্বকাপে প্রথম দল হিসেবে সেমিতে উঠে গেল ফ্রান্স। তাদের প্রতিপক্ষ ব্রাজিল অথবা বেলজিয়াম।