পাবনায় তিনজনকে হত্যার সন্দেহভাজন গ্রেপ্তার

0
311
পাবনা প্রতিনিধি : পাবনার বেড়া উপজেলার সোনাপদ্মা গ্রামে মা-ছেলেসহ একই পরিবারের তিনজনকে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন পরিবারের বড় ছেলে তুহিন শেখ (২২) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি তদন্ত দল গত শুক্রবার (৬ জুলাই) খুলনার ফুলতলা উপজেলার বেজেরডাঙ্গা গ্রামের জনৈক ফেরদৌস মেম্বারের বাড়ি থেকে তুহিনকে গ্রেপ্তার করে।
শনিবার (৭ জুলাই) বেলা সাড়ে ৩টায় পাবনা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিং এ এসব তথ্য জানানো হয়। প্রেস ব্রিফিং এ পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস, শামীমা আখতার উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস ব্রিফিং এ পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির পিপিএম সাংবাদিকদের জানান, গ্রেপ্তারের পর পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মা, খালা ও ছোট ভাইকে নিজ হাতে হত্যার কথা স্বীকার করেছে তুহিন। পরে পাবনার আমলী আদালত-৩ এর বিজ্ঞ বিচারক আব্দুল মমিনের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেয় সে।
স্বীকারোক্তিতে হত্যার কারণ সম্পর্কে তুহিন পুলিশকে জানিয়েছে, ৯ মাস আগে ভালোবেসে পরিবারের অমতে সে রুনা খাতুনকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে তাদের বাড়িতে থাকা খালা মরিয়ম খাতুন সহ পরিবারের লোকজন তুহিনের স্ত্রীকে মাঝে মধ্যেই তুচ্ছ বিষয় নিয়ে গালিগালাজ ও কটুক্তি করতো।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ঘটনার দিন ভোরে তুহিন প্রথমে তার খালা মরিয়ম খাতুন ওরফে নছিমনকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে বাইরে এনে তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে মনের আক্রোশে তাকে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যা করে সে। এ সময় তার মা তাসলিমা খাতুন ওরফে বুলি খাতুন ও ছোট ভাই তুষার মরিয়ম ওরফে নছিমনকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তাদেরকেও গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যা করে তুহিন।
তুহিনের স্ত্রী রুনা খাতুন গোঙানীর শব্দ শুনে বাইরে বের হয়ে দেখনে বাড়ির উঠোনে তিনজনের রক্তাক্ত লাশ। পাশে তার স্বামীকে ধারালো অস্ত্র হাতে রক্তাক্ত অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। এ সময় তুহিন স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলে ‘তিনটারেই শেষ করে দিলাম’। এ ঘটনায় রুনা খাতুনও হত্যার বিষয়ে আদালতের কাছে জবানবন্দি দিয়েছে।
প্রসঙ্গত: গত বুধবার (৪ জুলাই) ভোরে বেড়া উপজেলার সোনাপদ্মা গ্রামে মা তাসলিমা খাতুন ওরফে বুলি, ছোট ভাই তুষার ও আপন খালা মরিয়ম খাতুন ওরফে নছিমনকে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে ওই গ্রামের মিঠু শেখের বড় ছেলে তুহিন শেখের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর নিহত দুই বোনের ছোট ভাই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here