শনিবার রাতে তাকে নতুন স্ত্রীর পাশ থেকে উঠিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে বলা হয়েছে, দাউদ জামায়াত কর্মী। তিনি নাশকতার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন।
বিয়ের একদিন পর মধুচন্দ্রিমার রাতে গ্রেফতার হলেন আবু দাউদ মুন্সি নামে এক কাপড় ব্যাবসায়ী। তিনি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বৈডাঙ্গা গ্রামের টেঙ্গর আলী মুন্সীর ছেলে।
স্থানীয় সাগান্না ইউনিয়নের মেম্বর আমিনুল ইসলাম জানান, চার মাস আগে আবু দাউদের প্রথম স্ত্রী মারা যান। এরপর তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তবে বিয়ের পরদিন গ্রেফতার হয়েছেন কিনা তা আমার জানা নেই।
দাউদের ছেলে একরামুল হক জানান, মায়ের মৃত্যুর পর সংসার দেখাশোনার জন্য তার পিতা গত শুক্রবার সদর উপজেলার যাদবপুর গ্রামের আসমা খাতুনকে বিয়ে করেন। ছেলের ভাষ্যমতে, তার পিতা জামায়াতের সমর্থক ছিলেন। পুরানো দুইটি মামলায় জামিনে আছেন।
নতুন করে কোন মামলা ছিল না। বিয়ের একদিন পর তার পিতাকে পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। এতে তার নতুন মায়ের খুবই মন খারাপ হয়।
একরামুলের দুই ভাই বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন। পিতার গ্রেফতারে তারাও ভেঙ্গে পড়েছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার কনক কান্তি জানান, বিষয়টি যদিও সেনসেটিভ। তারপরও আমার অজানা। ঘটনার দিন আমাদের একাধিক টিম অভিযানে ছিল। কারা গ্রেফতার করেছে তা আমার জানা নেই।
আরো পড়ুনঃ
স্ত্রী-মেয়েকে দিয়ে নিজ বাড়িতে দেহ ব্যবসা, খুনের পর পুলিশকে ফোন, অত:পর
সিলেটের ওসমানীনগরে অজ্ঞাতনামা (৩৫) এক নারীকে হত্যা করে মাটিচাপা দিয়ে থানায় ফোন করেছে খুনি। পরে পুলিশ মাটি খঁড়ে লাশ উদ্ধার করে। খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত একজনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় আরও তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।
এ ঘটনায় আটককৃতরা হলেন উপজেলার দয়ামীর ইউপির দয়ামীর খালপাড় গ্রামের মৃত হুরমত উল্যার ছেলে আব্দুল বারী (৪০)। অন্যরা হলেন, তার কথিত স্ত্রী পাখি বেগম (২০), তার মেয়ে মোনালিসা (১৩) উপজেলার তাজপুর ইউপির মজলিসপুর গ্রামের জনাব আলীর ছেলে সেলিম মিয়া (৩৫)।
সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে দয়ামীর ইউপির দয়ামীর বাজারের কনাইশাহ (র.) মাজারের পশ্চিম পাশ থেকে ওই নারীর মরদেহ তোলা হয়। এর আগে রবিবার রাতে ওই অজ্ঞাত নারীকে হত্যা করা হয়।
পুলিশ জানায়, নিহত নারী ও কথিত স্ত্রী-মেয়ে এবং বিভিন্ন নারীকে দিয়ে নিজের বাড়িতেই দেহ ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন আব্দুল বারী। পরে এক নারীকে হত্যা করেন বারী। তবে ওই নারীকে কী কারণে হত্যা করা হয়েছে তা জানাননি বারী।
ওসমানীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, সোমবার বেলা ১১টার দিকে আব্দুল বারী ও অন্য আরেকজন থানায় ফোন করে জানান দয়ামীরে অজ্ঞাত এক নারীকে খুন করে মাটিচাপা দেয়া হয়েছে।
খবর পেয়ে পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ঘটনার অনুসন্ধান করে এর সত্যতা পায়। ঘটনার পুরো সংবাদ জানতে কৌশলে আব্দুল বারীকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ওই নারীকে তার বাড়িতে রোববার রাতে খুন করে দয়ামীর বাজারের পশ্চিমে মাটিচাপা দিয়ে মরদেহ গুমের কথা স্বীকার করেন। খুন করতে তাকে আরও কয়েকজন সহযোগিতা করেছেন বলেও জানান বারী।
সোমবার দুপুর ১টার দিকে দয়ামীর বাজারের কনাইশাহ (র.) মাজারের পশ্চিমের খালি জায়গা থেকে মাটিচাপা দেয়া নারীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম আরও বলেন, নিহত নারীর পরিচয় পাওয়া যায়নি। আব্দুল বারী নিহত নারী ও তার কথিত স্ত্রীসহ বিভিন্ন নারীদের দিয়ে নিজের বাড়িতেই দেহ ব্যবসা পরিচালনা করতেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি। তাকে এ বিষয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।