হবু জামাই হোন বা বিয়ের পরে জামাই হয়ে শ্বশুরবাড়িতেই যান, কিছু কিছু প্রশ্নের উত্তরে কখনোই সরাসরি দেয়া উচিত নয়। জেনে নিন এমন পরিস্থিতিতে কি করবেন।
শ্বশুরের বাড়ি বা ফ্ল্যাট ঠিক মতো প্ল্যান করে তৈরি হয়নি বা কোনো সমস্যা আছে মনে হলেও তা বলা যাবে না। মনে রাখবেন আপনার শ্বশুর-শাশুড়ি বা তার বাবা-মা অনেক কষ্ট করে এই বাড়ি তৈরি করেছিলেন বা ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন। সুতরাং তাদের পরিশ্রম বা কষ্টকে অসম্মান করবেন না। আপনার স্ত্রীকে নিয়ে কোনো রকম অভিযোগ করতে যাবেন না শ্বশুরের কাছে। মনে রাখতে হবে নিজের মেয়ের প্রতি প্রত্যেক বাবারই স্নেহ থাকে অনেক। মেয়ের সম্পর্কে কোনো অভিযোগ বাবা শুনতে চাইবেন না।
শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে খেতে বসে খাবারের স্বাদ নিয়ে কিছু বলবেন না। কারণ তাতে যেমন শাশুড়ির খারাপ লাগতে পারে, তেমন খাবারের উপাদান নিয়ে খারাপ মন্তব্য করলে রেগে যেতে পারেন শ্বশুর। মনে রাখতে হবে, জামাইয়ের জন্য সেরা মাছ, সেরা সবজি, সেরা মিষ্টি নিয়ে আসার চেষ্টা করেন শ্বশুরেরা। তাই এ বিষয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করবেন না।
বিয়ের পর এই পরামর্শ গুলো অবশ্য সাধারণ ভাবে প্রয়োগ করতে পারেন। যদিও এর থেকে হয়তো অনেক গম্ভীর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারেন আপনি। তবে শ্বশুর-শ্বাশুড়ি যদি জামাইকে নিজের ছেলের মতো মনে করেন, তাহলে তো কথাই আলাদা। তখন স্বাভাবিক ভাবেই উত্তরও হবে অন্যরকম!
বিয়ের আগে মেয়ে জামাই কি রকম বেতন পায় তার একটা ধারণা নিয়েই মেয়ের বিয়ের আয়োজন করেন বাবা মা । তবুও এ বিষয়ে সরাসরি কোনো কথা না বলাই ভাল। কারণ আপনি যতই রোজগার করুন আপনার শ্বশুরের কাছে সেটা কম লাগতেই পারে।
আরো পড়ুনঃ
জেনেনি বিয়ের কত দিন পর যৌনমিলনের আগ্রহ কমে যায়
গবেষণার জন্য দম্পতিদের একান্ত সময়ের আচরণগুলো নিয়ে করা ‘সম্পর্কের বয়স বাড়ার সঙ্গে কি যৌন সন্তুষ্টি কমে যায়?’ শীর্ষক এক জরিপে অংশগ্রহণ করেন ২৫ থেকে ৪১ বছর বয়সি প্রায় তিন হাজার মানুষ।গবেষকরা বলেন, “আশ্চর্যজনকভাবে দেখা যায়, দম্পতিদের যৌনজীবনের উপর সন্তান থাকা বা না থাকার খুব একটা প্রভাব নেই।”
বিয়ের পর যদি মনে হয় যৌনমিলনের উপর থেকে আগ্রহ কমে যাচ্ছে, তবে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। নতুন এক গবেষণা অনুযায়ী, সম্পর্কের এক বছর বা ১২ মাস একসঙ্গে থাকার পরই যৌনমিলনে দম্পতিদের আগ্রহ কমতেই পারে। তবে সেগুলোর কারণ নিয়মিত তর্কবিতর্ক, ঝগড়া বা সন্তান নয়।
আর সময়মতো একে অপরের যৌন পছন্দগুলো সম্পর্কে আলোচনা ও বোঝার মাধ্যমে এই পরিস্থিতিতে পরিবর্তন আনা সম্ভব। প্রধান গবেষক, জার্মানির মিউনিখে অবস্থিত লুদভিগ মাক্সিমিলিয়ান ইউনিভার্সিটির ক্লাউডিয়া স্মিজবার্গ বলেন, “আমরা দেখেছি, একটি সম্পর্কের প্রথম বছরে যৌন সন্তুষ্টির ইতিবাচক লক্ষণ দেখা যায়। পরে ক্রমেই তা কমতে থাকে।”
স্মিজবার্গ বলেন, “বৈবাহিক সম্পর্কের পরিক্রমায় যৌন সন্তুষ্টি কীভাবে পরিবর্তিত হয় তা পর্যালোচনা করতে আমরা ব্যবহার করেছি জার্মান ফ্যামিলি প্যানেল গবেষণার তিন স্তর গবেষণা।” গবেষক দলটি অঙ্গীকারবদ্ধ সম্পর্কে জড়িত তরুণ এবং মধ্যবয়সি দম্পতিদের উপর জোর দিয়ে এই পর্যালোচনা করে।
গবেষকরা বলেন, “এছাড়াও স্বাস্থ্যগত বিষয়, দম্পতিদের মধ্যে কথাবার্তায় অন্তরঙ্গতা এবং দ্বন্দ্বের ধরনও এই ফলাফলে প্রভাব বিস্তার করেছে।” আর্কাইভস অফ সেক্সুয়াল বিহেইভিয়র জার্নালে এই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়।