জেনেনিন অল্প বয়সে বিয়ে করার ৬টি উপকারিতা

0
678
???????????? ???????????? ?????????????????? ????????????????????? ??????????????????

অনেকে বলেন- বিয়ে এবং সম্পর্ক আসলে কী তা বুঝে তবেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। বিয়ের সঠিক বয়স কোনটি তা নিয়ে বিভিন্ন মত রয়েছে।

আর বিয়ের সাথে অর্থনৈতিক বিষয়ও জড়িত থাকে বলে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী না হওয়া পর্যন্ত অনেকেই বিয়ের কথা ভাবেন না। কিন্তু সত্যি বলতে কি, দ্রুত বিয়ে করে ফেলার সিদ্ধান্ত কিন্তু বুদ্ধিমানের মতো কাজ। বয়স একটু কম থাকতেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলা উচিত। এতে জীবনটা অনেক বেশিই সহজ মনে হবে আপনার কাছে। অনেক ধরণের সমস্যা থেকে অনায়াসেই মুক্ত থাকতে পারবেন। আসুন জেনে নিই কম বয়সে বিয়ে করার ছয়টি সুফল।

০১. বেশি বয়সে বিয়ে করলে স্বামী-স্ত্রী নিজেদের জন্য কতটা সময় পান? বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সন্তানের দায়িত্ব এসে পড়ে। আর সন্তান হয়ে গেলে দু’জনের একান্ত সময় কাটানো খুব বেশি হয়ে ওঠে না। কিন্তু অল্প বয়সে বিয়ে করলে সঙ্গীর সাথে অনেকটা সময় পাওয়া যায়। এতে সম্পর্ক অনেক ভালো ও মধুর থাকে।

০২. আপনি যদি ৩০ পার করে বিয়ে করেন, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই আপনার বয়সের কারণে আপনার মধ্যে যে গাম্ভীর্য চলে আসবে তার জন্য সম্পর্ক খুব বেশি মধুর ও ঘনিষ্ঠ হবে না। ব্যাপারটি বরং এমন হবে যে, বিয়ে করা উচিত তাই বিয়ে করেছি। এ কারণে আগেই বিয়ে করা ভালো। যখন আবেগ কাজ করে অনেক।

০৩. ‘একজনের চেয়ে দু’জন ভালো’ -বিষয়টি নিশ্চয়ই না বোঝার কথা নয়। একাই সুখ-দুঃখ ভোগ করার চেয়ে দু’জনে ভাগাভাগি করে নিলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। অল্প বয়সে বিয়ে করলে জীবনের সবকিছু ভাগ করে নেয়া যায়। ফলে মানসিক চাপটাও কম পড়ে।

০৪. সন্তানের জন্য খুব ভালো মাতা-পিতার উদাহরণ হতে পারবেন যদি বিয়ে আগে করে ফেলেন। আপনি দেরিতে বিয়ে করলে সন্তান মানুষ করার বিষয়টিও পিছিয়ে যাবে। আর আপনার মানিসকতাও কিন্তু দিনকে দিন নষ্ট হতে থাকবে।

০৫. আগে বিয়ে করলে আপনার কাছে এসে কেউ ‘কেন বিয়ে করছ না’, ‘কবে বিয়ে করবে’, ‘বয়স বেড়ে যাচ্ছে’, ‘কাউকে পছন্দ কর কি’ ইত্যাদি বিরক্তিকর কথা শোনার হাত থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন।

০৬. দুর্ভাগ্যবশত অনেকেই বিয়ের ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। তাই এখন ডিভোর্সের সংখ্যাও বাড়ছে। জলদি বিয়ে করার কিন্তু এই দিক থেকেও সুবিধা রয়েছে। যদি অল্প বয়সে বিয়ে করার পর, আল্লাহ না করুন কোনো কারণে যদি সম্পর্ক ভেঙেও যায়, তারপরও জীবনটাকে নতুন করে গুছিয়ে নেয়ার দ্বিতীয় সুযোগ পাওয়া যায়।

আরো পড়ুনঃ
জেনেনিন শ্বশুরবাড়িতে গেলে যে বিষয়গুলোর উত্তর কখনোই সরাসরি দিবেন না!

হবু জামাই হোন বা বিয়ের পরে জামাই হয়ে শ্বশুরবাড়িতেই যান, কিছু কিছু প্রশ্নের উত্তরে কখনোই সরাসরি দেয়া উচিত নয়। জেনে নিন এমন পরিস্থিতিতে কি করবেন।

শ্বশুরের বাড়ি বা ফ্ল্যাট ঠিক মতো প্ল্যান করে তৈরি হয়নি বা কোনো সমস্যা আছে মনে হলেও তা বলা যাবে না। মনে রাখবেন আপনার শ্বশুর-শাশুড়ি বা তার বাবা-মা অনেক কষ্ট করে এই বাড়ি তৈরি করেছিলেন বা ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন। সুতরাং তাদের পরিশ্রম বা কষ্টকে অসম্মান করবেন না। আপনার স্ত্রীকে নিয়ে কোনো রকম অভিযোগ করতে যাবেন না শ্বশুরের কাছে। মনে রাখতে হবে নিজের মেয়ের প্রতি প্রত্যেক বাবারই স্নেহ থাকে অনেক। মেয়ের সম্পর্কে কোনো অভিযোগ বাবা শুনতে চাইবেন না।

শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে খেতে বসে খাবারের স্বাদ নিয়ে কিছু বলবেন না। কারণ তাতে যেমন শাশুড়ির খারাপ লাগতে পারে, তেমন খাবারের উপাদান নিয়ে খারাপ মন্তব্য করলে রেগে যেতে পারেন শ্বশুর। মনে রাখতে হবে, জামাইয়ের জন্য সেরা মাছ, সেরা সবজি, সেরা মিষ্টি নিয়ে আসার চেষ্টা করেন শ্বশুরেরা। তাই এ বিষয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করবেন না।

বিয়ের পর এই পরামর্শ গুলো অবশ্য সাধারণ ভাবে প্রয়োগ করতে পারেন। যদিও এর থেকে হয়তো অনেক গম্ভীর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারেন আপনি। তবে শ্বশুর-শ্বাশুড়ি যদি জামাইকে নিজের ছেলের মতো মনে করেন, তাহলে তো কথাই আলাদা। তখন স্বাভাবিক ভাবেই উত্তরও হবে অন্যরকম!

বিয়ের আগে মেয়ে জামাই কি রকম বেতন পায় তার একটা ধারণা নিয়েই মেয়ের বিয়ের আয়োজন করেন বাবা মা । তবুও এ বিষয়ে সরাসরি কোনো কথা না বলাই ভাল। কারণ আপনি যতই রোজগার করুন আপনার শ্বশুরের কাছে সেটা কম লাগতেই পারে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here