ছিলেন অনেক সুন্দরী, কিন্তু হলেন ভুতুড়ে তরুণী, নিজেই জানালেন আসল রহস্য

0
468

বছর খানেক আগে এক তরুণীর ছবি ঘিরে শোরগোল পড়েছিলো। অ্যাঞ্জেলিনা জোলির মতো হতে গিয়ে ‘খোদার উপরে খোদকারি’র চেষ্টায় বিপত্তি ঘটিয়েছিলেন ইরানের এক তরুণী।

হয়ে উঠেছিলেন কুৎসিত। যাকে দেখলে দিনের আলোতেও আঁতকে উঠবেন যে কেউ। গল্পের বইতে ডাইনি বা প্রেতিনীদের যেসব ছবি দেখা যায়, প্রায় সেই রকমই দেখতে হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তখন জানা গিয়েছিল, চেহারায় এমন পরিবর্তন আনার জন্য তিনি অন্তত ৫০টি অস্ত্রোপচার করিয়েছেন।

বছর ঘুরতে না ঘুরতেই আবার ফিরে এসেছে সাহার তাবার নামের ২০ বছরের সেই তরুণী। সেই সময় অনেকেই তাঁর ছবি দেখে খারাপ সব মন্তব্য করেছিলেন। এবার সাহার সামনে আনলেন তাঁর আসল চেহারা। সে ছবিতে তাঁর রূপের জৌলুস দেখে তাক লেগে যেতে বাধ্য।

তরুণী জানিয়েছেন, নিছকই ইনস্টাগ্রামের ফলোয়ার বাড়াতে নিজের ছবিতে ফটোশপ করে নিজেকে কুৎসিত দর্শন করে তুলেছিলেন তিনি। অ্যাঞ্জেলিনা জোলি হওয়ার কোনও ইচ্ছে তাঁর ছিল না।

সাহার তাবারের মতে, তাঁর এই ভোল বদল আসলে শৈল্পিক এক এক্সপেরিমেন্ট। তাঁর আসল ছবি দেখে রীতিমতো চমকে গিয়েছেন নেটিজেনরা। প্রশ্ন উঠছে, এমন সুন্দর চেহারাকে বিকৃত করে জনপ্রিয় হওয়ার অর্থ কী?

ব্রিটিশ গণমাধ্যম ‘ডেইলিমেইল’-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, সবটাই মেক আপ আর ফোটো এডিটিং-এ জাদু নয়। সত্যি সত্যিই কয়েকটি অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন সাহার। তবে তার ফলে তিনি ভয়ঙ্কর দর্শন কুরূপা হয়ে উঠেছিলেন, তা নয়। স্রেফ ফোটো এডিটিং-এর কায়দাবাজিতে নিজের চেহারাকে বদলে সকলের সামনে পেশ করেছিলেন তিনি।

আরো পড়ুনঃ
নিজের ধর্ম ইসলাম ত্যাগ করে হিন্দু তরুণীকে বিয়ে, এরপর…

হিন্দু রীতিনীতি মেনে সেই প্রেমিকাকে বিয়েও করেছেন। কিন্তু সেই স্ত্রীই এখন আর স্বামী হিসেবে গ্রহণ করতে চাইছে না ইব্রাহিমকে।

অঞ্জলি জৈন (২৩) নামে এক হিন্দু তরুণীর সঙ্গে তিন বছরের প্রেমের সম্পর্ক মুহম্মদ ইব্রাহিম সিদ্দিকির (৩০)। সেই প্রেমিকাকে বিয়ে করতে ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছেন তিনি। নিজের নাম রেখেছেন আরয়ান আর্য।

চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রেমিকাকে বিয়ে করতে ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেন ভারতের ছত্তিসগড় রাজ্যের বাসিন্দা ইব্রাহিম। তার ঠিক দুদিন পর হিন্দু রীতিনীতি মেনে রায়পুরের (ছত্তিসগড়ের রাজধানী) আর্য সমাজ মন্দিরে প্রেমিকাকে বিয়ে করেন।

বিয়ের কিছুদিন পর অঞ্জলি বাড়ি ফিরে যান। কিন্তু পরিবারের কাছে বিয়ের বিষয়টি চেপে যান তিনি। পরে বাড়ির লোকেরা বিয়ের কথা জানতে পেরে মেয়েকে স্বামীর কাছে যেতে বাধা দেয়। অন্যত্র পাঠিয়ে দেয়া হয় তাকে।

স্ত্রীকে ফিরে পেতে ছত্তিশগড় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ইব্রাহিম। বিচারপতির নির্দেশে গত ৩০ জুলাই আদালতে হাজির হন অঞ্জলি ও তার বাবা। আলাদাভাবে অঞ্জলির বক্তব্য শোনা হয়।
আদালতকে তিনি জানান, ‘তার পরিবার এই সম্পর্কের বিরোধী ঠিকই। তবে জোর করে তাকে আটকে রাখার বিষয়টি সঠিক নয়।’

এরপর আদালত অঞ্জলিকে কিছু সময় নিতে বলেন, যাতে তিনি নিজের ব্যাপারে নিজেই সিদ্ধান্তে আসতে পারেন। আদালত এই সময়ের মধ্যে অঞ্জলিকে বাড়ি অথবা হোস্টেলে থাকার নির্দেশ দেয়।

হাইকোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ইব্রাহিম এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। এরপর ছত্তিসগড় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র ও বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চ ছত্তিশগড় রাজ্য সরকারের কাছে এ বিষয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠান। রাজ্য সরকারের কাউন্সিলের কাছে পিটিশনের কপি চেয়েও পাঠিয়েছে।

অঞ্জলি এবার সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চকে বলেছেন, ‘যদিও তিনি নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করেছিলেন, তবে প্রকৃতপক্ষে তিনি তার বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতে পছন্দ করেন।’

সুপ্রিম কোর্ট তাকে বলেন, ‘আপনি প্রাপ্তবয়স্ক, আপনাকে স্বাধীন ইচ্ছার ব্যবহার করতে হবে। যদি আপনি স্বামীর সঙ্গে যেতে না চান তবে এটি একটি বিয়ের মামলা হয়ে দাঁড়াবে।’

অঞ্জলির আইনজীবী বলেন, এটি একটি লজ্জাজনক বিয়ে। ওই ব্যক্তি আগেও দুইবার বিয়ে করেছেন এবং সেটা গোপন করেছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here