আহাজারি
জ্যোতির্ময় নন্দী
নোংরা করছো কতদিন এই পৃথিবী হায়!
শিশুরা এখন শেখায় তারা কী পৃথিবী চায়।
শেখালেও জানি তুমি কিছু শিখবে না
তবুও শিশুরা আজ শিক্ষক ভূমিকায়।
হাস্যাস্পদ করেছো স্বদেশ চেতনা
একাত্তরে তোমরাই ছিলে, সে তো না।
মুক্তিসেনার স্বপ্নেরা হলে বাস্তব
শিশুরা কিন্তু রাজপথে আজ যেতো না।
লজ্জায়, বড় লজ্জায় করি মাথা নত
আমার শিশু কি আগামীতে হবে আমার মত?
আমার দূষিত রক্ত তো আছে তার শিরায়
মিথ্যাচারের উত্তরাধিকার জন্মগত।
রাজপথে আজ শিশু মরে, লিখি কবিতা
পত্রিকায়, ফেসবুকে আর কাটি ফিতা
তথাকথিত উন্নয়নের। কী লজ্জায়
সত্য-বিবেক ঢেকেছে মুখ জানো কি তা?
বন্ধুর শোকে শিশুরা নেমেছে রাজপথে
তোমার নোংরা তারা সাফ করে কোনোমতে।
কিন্তু তোমরা আপন স্বভাব নিয়মে
ডুবাচ্ছো সব রাজনীতির চোরাস্রোতে।
পুত্র ফিরিয়ে আনতে চাইছে আরেক ফাগুন
পোড়াচ্ছে তাকে পিতার লোলুপ পাপের আগুন।
সত্য হচ্ছে মিথ্যা এবং মিথ্যা হচ্ছে সত্য–
কী হচ্ছে কিছু বোঝা যাচ্ছে না দোষ না গুণ।
দূষিত জিনের ধারক সকল পিতাকে ধিক
যদিও পুত্র-কন্যা দেখায় আলোর দিক
কুকুরের লেজ যে বাঁকা তেমনই থাকবে
ভুল রাজনীতি কিছুই হতে দেবে না ঠিক।
আহ্লাদে থেকে তথাকথিত উন্নয়নের খবরে
প্রকৃত কৃষ্টি মানবতা যায় অমানুষিতার কবরে।