আরিচা লঞ্চ ঘাট সড়কের বেহাল দশা

0
337

শাহজাহান বিশ্বাস: আরিচা বন্দর বাজার সংলগ্ন লঞ্চ ঘাট সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় জন দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। ফলে সড়কটিতে যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এ সড়কটি মেরামত না করলে বড় ধরনের দুর্ঘনার আশংকা করছেন স্থানীয়রা। কর্তৃপক্ষ দেখেও না দেখার ভান করে রয়েছে। এ সড়কের বেহাল দশা দিন দিন বেড়ে গিয়ে মানুষের দুভোর্গ বেড়েই চলছে।

স্থানীয় ভুক্তভোগীদের অভিযোগ সরকার ঢাকাসহ সাড়া দেশের মহাসড়কগুলোতে উন্নয়নমুলক কাজ করলেও এ সড়কটি জনগুরুত্বপূর্ণ হওয়া সত্তেও কোন উন্নয়ন করছেনা। ফলে এ সড়ক দিয়ে রিক্সা-ভ্যানসহ যানবাহন চলাচলে মারাত্মক অসুবিধার সৃষ্টি হয়েছে। পথচারীদের রাস্তায় বেড়িয়ে খানা-খন্দ ও কাঁদা পেরিয়ে যাতায়াত করতে নানা ধরনের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।

বৃষ্টি হলেই ঐতিহ্যবাহী আরিচা ঘাটের বাসস্ট্যন্ড এলাকা থেকে লঞ্চ ঘাট সড়কটির অধিকাংশ স্থানেই বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে পানি জমে থাকে। এতে সড়কের বিভিন্ন স্থানে ১/২ ফুট গর্তের মধ্যে পানি জমে রয়েছে।

যানবাহন শ্রমিকরা জানান, এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি রোগীদের ভীশন অসুবিধা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি সংস্কার কাজ না করায় নদী পার হয়ে আসা যাত্রী, স্থানীয় লোকজন সহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের ভীষন অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী আইনদ্দিন জানন, এ সড়ক দিয়ে আরিচা গরুর হাটে যানবাহন ও লোকজন এবং দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত লোকজন যাতায়াত করে থাকে। আরিচা লঞ্চ ঘাট থেকে গরু হাটের নিকট ও নদীর পার দিয়ে রাস্তাটি ভেঙ্গে যাওয়ায় বিভিন্ন ট্রান্সর্পোটের ও আরিচা বৈদ্যুতিক খুটি তৈরীর কারখানার মালামাল পরিবহণ করা ভীষণ অসুবিধা হচ্ছে।

সড়কের পাশ দিয়ে ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা থাকায় পানি নিস্কাশন হচ্ছে না। ফলে একটু বৃষ্টি হলেই সড়কে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। এতে সড়কের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয় ছোট-বড় অসংখ্য গর্তসহ খান খন্দের। এ সড়ক দিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় এলাকাবাসী এবং স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ পরিবহন শ্রমিক ও সাধারণ মানুষ জনের।

শিবালয় বন্দরের ব্যবসায়ীরা জানান, সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে খুবই সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। মালামাল আনা-নেওয়ায় পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। রিক্সা-ভ্যান চালকরা যেতে চায়না এ রাস্তা দিয়ে। এ সড়কটি গতবার মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে ইট-বালু ফেলে মেরামত করলেও এক বছরের মাথায় অধিকাংশ স্থান ভেঙে পূর্বের অবস্থায় ফিরেছে। ফলে এ সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

শিবালয় মডেল ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম জানান, আরিচা বন্দর ও হাট বাজারকে ঘিরে এ এলাকায় প্রায় ২০০০হাজার লোকের বসবাস। এদের নিত্যপ্রয়োজনীয় যাবতীয় জিনিসপত্র শিবালয় বন্দর বাজার থেকেই কেনাকাটা করে থাকে। এ বাজারে প্রায় ১০০০ ব্যাবসায়ী রয়েছে। আরিচা বন্দরের লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাট দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার লোক যাতায়াত করে থাকে।

সড়ক ও নৌ-পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল হওয়ায় একাধিক ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে গবাদি পুশুসহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল রাজধানী ঢাকা, চট্রগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে থাকে। সবমিলিয়ে এ সড়ক এবং শিবালয় বন্দর ও বাজারের গুরুত্ব অপরিসীম।আশানুরূপ কোন উন্নয়ন না হওয়ায় নানা ধরনের সমস্যা বিরাজ করছে এ বন্দরে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ, বন্দর কর্তৃপক্ষ, ইউনিয়ন পরিষদ ও বন্দর ব্যবসায়ী সমিতি সমন্বয় করে কাজ করলে হয়তো এ সমস্য থাকবে না বলে তিনি জানান।

এব্যাপারে মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুর রহিম বলেন, এ সড়কটি আমাদের তালিকভুক্ত না। তারপরও জনগুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় মাঝে মধ্যে আমরা মেরামত করে থাকি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here