Home লিড ১ ’জনগণের জান-মাল নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্লক রেইড’
দেশইনফো প্রতিবেদক: ’জনগণের জান-মাল নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্লক রেইড’ বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। চলমান ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে পুলিশের ব্লক রেইড অভিযানের কোনো সম্পৃক্ততা নেই – বলেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
তিনি বলেছেন, চলমান ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে এ অভিযানের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। ছাত্র আন্দোলনে যারা নাশকতা করেছে, নাশকতার পরিকল্পনা করেছে, যারা উসকানি দিয়েছে তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। প্রচলিত আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে, রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকাসহ আশপাশে ৩ ঘণ্টাব্যাপী ‘ব্লক রেইড’ চালিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। বুধবার রাতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, নর্দা-কালাচাঁদপুর এবং নতুন বাজার এলাকায় এ অভিযান চলে। হঠাৎ বিপুলসংখ্যক পুলিশ দেখে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।
এসময় ডিএমপির বিভিন্ন অপরাধ বিভাগ, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও রিজার্ভ পুলিশের প্রায় দুই হাজার সদস্য কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় জড়ো হন। ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, অতিরিক্ত-কমিশনার (ক্রাইম) কৃষ্ণপদ রায়, অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) আবদুল বাতেন, যুগ্ম কমিশনার শেখ নাজমুল আলম, গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মুশতাক আহমেদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসেন। তারা পুলিশ সদস্যদের ব্রিফ করেন। পরে পুলিশ সদস্যরা ছোট ছোট গ্রুপে ভাগ হয়ে অভিযান শুরু করেন। অভিযানের আগেই ঘটনাস্থলে আনা হয় পুলিশের মোবাইল কমান্ড সেন্টার (বিশেষ গাড়ি)। ওই গাড়িতে বসে ডিএমপি কমিশনারসহ পুলিশের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা পুরো অভিযান মনিটরিং করেন।
পুলিশ জানায়, এ এলাকায় তিনটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ নানা ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী এ এলাকায় মেস ভাড়া করে থাকেন। তাদের মধ্যে ছদ্মবেশে কিছু দুর্বৃত্ত দীর্ঘদিন ধরে অবস্থান করছে বলে গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য রয়েছে। বিভিন্ন ইস্যুতে তারা রাজপথে নেমে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও পুলিশের ওপর হামলা করে। সর্বশেষ সোমবার নিরাপদ সড়কের দাবিতে নামা স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ওই সব দুর্বৃত্ত সড়কে নেমে ব্যাপক ভাংচুর ও পুলিশের ওপর হামলা করে। এ কারণে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত হয় বলে পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান।
আভিযানিক টিমের সঙ্গে গিয়ে দেখা যায়, তাদের টার্গেট ছিল ওই এলাকায় থাকা ছাত্ররা। প্রত্যেকটি টিমের সঙ্গে স্থানীয় থানা পুলিশের একজন করে সদস্য ছিলেন। তারা আগে থেকেই গোটা এলাকা রেকি করেন। যেসব বাসা-বাড়িতে ছাত্ররা থাকেন সেইসব বাড়িগুলো চিহ্নিত করা ছিল।