বিকাশ নস্কর: ভারতবর্ষের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণের ব্যাপারে সুভাষ বসু নাখোশ ছিলেন। তিনি সে সময় গৃহ বন্দিছিলেন। তিনি বুঝতে পারলেন ব্রিটিশরা তাঁকে যুদ্ধের আগে ছাড়বে না। তাই তিনি দুইটি মামলার বাকি থাকতেই আফগানিস্তান ও সোভিয়েত ইউনিয়ন হয়ে জার্মানী পালিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নেন।
কিন্তু আফগানিস্তানের পশতু ভাষা না জানা থাকায় তিনি ফরওয়ার্ড ব্লকের উত্তর-পশ্চিম সিমান্ত প্রদেশের নেতামিয়া আকবর শাহকে তার সাথে নেন।যেহেতু তিনি পশতু ভাষা জানতেন না তাই তাঁর ভয় ছিল,আফগানিস্তানবাসীরা তাকে ব্রিটিশচর ভাবতে পারে। তাই মিয়া আকবরশাহের পরামর্শে তিনি অধিবাসীদের কাছে নিজেকে একজন কালা ও বোবা বলে পরিচিত করেন।
সেখান থেকে সুভাষ বসু মস্কো গমন করেন একজন ইতালির কাউন্ট অর ল্যান্ডোমাজ্জোট্টা” নামক এক নাগরিকের পরিচয়ে। মস্কো থেকে রোম হয়ে তিনি জার্মানী পৌঁছান। তিনি বার্লিনে মুক্ত ভারতীয় কেন্দ্র (Free India Center) গড়ে তোলেন। ভারতের স্বাধীনতার জন্য তিনি জার্মান চ্যান্সেলর এডলফ হিটলারের সাহায্য প্রার্থনা করেণ। কিন্তু ভারতের স্বাধীনতার ব্যাপারে হিটলারের উদাসিনতা তার মনোবল ভেঙ্গে দেয়।
ফলে ১৯৪৩ সালে সুভাষ বসু জার্মানত্যাগ করেণ। একটি জার্মান সাবমেরিন তাকে সমুদ্রের তলদেশে একটি জাপানি সাবমেরিনে পৌঁছিয়ে দেয়, সেখান থেকে তিনি জাপান পৌঁছান।এদিকে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর বীরত্বে হিটলার-তোজো’র মতো একন্যায় তন্ত্রে বিশ্বাসীরাও তাঁর সামনে মাথা অবনত করে মৈত্রীর দিকে হাতবাড়ান।
ভারতের অরবিন্দ ঘোষ, সূর্যসেন ভগৎ সিংয়ের মতো নেতারা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নজরুলের মতোন কবিরা তাঁর আদর্শে অনুপ্রাণিত হন।সমস্ত ভারতবাসীর নয়নমণি হয়ে উঠেন আমাদের নেতাজী সুভাষচন্দ্র বোস।