কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বের অবহেলার কারণে চলতি প্রাইমারি এডুকেশন কমপ্লিশন এক্সামিনেশন (পিইসিই) পরীক্ষা অংশগ্রহণ করতে পারলো না তিন শিক্ষার্থী।
ঘটনাটি ঘটে উপজেলার সদর ইউনিয়নের চন্দ্রখানা গ্রামে।
জানা গেছে, সারা দেশের নেয় রোববার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ফুলবাড়ী উপজেলার ছয়টি কেন্দ্রে যথা নিয়মে পরীক্ষা শুরু হয়। কিন্তু উপজেলার সরকার পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিল তার ব্যতিক্রম। সেখানে ৩০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেওয়ার কথা থাকলেও প্রবেশপত্র পেয়েছে ২৭ জন।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দুপুর ১২টায় চন্দ্রখানা সরকার পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় গিয়ে বিদ্যালয়টি বন্ধ থাকায় কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে খোঁজ নিয়ে তিন শিক্ষার্থীর খোঁজে তার বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল তারা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পেরে মন খারাপ করে বসে আছে। ওই তিন শিক্ষার্থীরা হলেন, ওই প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত ৫ম শ্রেণির ছাত্র রিয়াজুল ইসলাম পলাশ, ছাত্রী কুমারী সিমু রানী ও কুমারী পল্লবী রানী।
এক ছাত্রের অভিভাবক পলি বেগম জানান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফরোজা আক্তার প্রিয়ার দায়িত্বের অবহেলার কারণে এই ৩ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি। সেখানে আমার ছেলে পলাশও রয়েছে।
সরকার পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফরোজা আক্তার প্রিয়া জানান, শিক্ষার্থীরা খুবই দূর্বল। অভিভাবকরাই বলেছেন এবারের পরীক্ষা না দিতে। ফরম পূরণের সময়ও তাদের কোনও খোঁজ ছিল না। তাই তারা পরীক্ষা দিতে পারেনি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা স্বপন কুমার অধিকারী বলেন, যারা পরীক্ষা দিতে পারেনি তাদের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষকেই দায়ী। তবে অভিভাবকদের খোঁজ খবর রাখা উচিত ছিল। কারণ তাদের সন্তান পরীক্ষা দিতে পারলো না।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে জানান, এবারের চলতি পিএসসি’তে ৩৫৮৯ ও এবতেদায়ীতে ৪৯৫ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার কথা থাকলে অনুপুস্থিত পিইসিইতে ২০৪ ও এবতেদায়ীতে ৮২ জন।