সম্প্রতি এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের বিহারের পাটনার সমশটিপুর জেলায়। জানা গেছে, ওই ব্যক্তির নাম রোশান লাল। পাটনা শাহরেই বাস করেন। ছেলের জন্য পাত্রী খুঁজছিলেন তিনি এবং অবশেষে ২১ বছর বয়সী স্বপ্নার সঙ্গে বিয়ের কথা পাকাপাকিও হয়।
পাত্রের বয়স ৬৫, পাত্রীর ২১। তাও আবার নিজের ছেলেকে বিয়ে দেয়ার জন্যই ঠিক করেছিলেন পাত্রীকে। কিন্তু, কপালের লিখন কেউ খণ্ডাতে পারলো না। ছেলের জন্য দেখা ওই পাত্রিকেই বিয়ে করে নিলেন বাবা।
পাত্রীও একই এলাকায় থাকতেন। দুই পরিবারের সম্মতিতেই ঠিক হয় বিয়ে। মহাধুমধামে শুরু হয় বিয়ের প্রস্তুতি। দুই পরিবারই আমন্ত্রণপত্র বিলি করে। কথামতো বিয়ের দিন উপস্থিত হন অতিথিরাও। নববধূ আশা নিয়ে অপেক্ষা করলেও বরের দেখে মেলিনি। পরে খোঁজাখুঁজি করে জানা যায়, বর তার প্রেমিকাকে নিয়ে পালিয়েছেন।
ছেলে-মেয়ের পরিবারের কেউই বিষয়টি জানতেন না। বিয়ের অনুষ্ঠানে অসংখ্য অতিথির সামনে দুই পরিবারই লজ্জায় পড়েন। রোশান লাল কনের মা-বাবাকে জিজ্ঞাসা করেন, এখন কী করা যেতে পারে? স্বপ্নার মা-বাবা তাদের সম্মান বাঁচাতে চান এবং বলেন বিয়ের অনুষ্ঠান বন্ধ করা যাবে না। অবশেষে তারা রোশান লালকে অনুরোধ করেন, তিনি যেন তাদের কন্যাকে বিয়ে করেন। চিন্তিত রোশান লাল প্রথমে রাজি না হলেও পরে রাজি হয়ে যান।
এদিকে ভারতে বিষাক্ত মদ পানে ১২ জনের মৃত্যু
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার শান্তিপুরের চৌধুরীপাড়া গ্রামে বিষাক্ত চোলাই মদ পান করে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ হয়ে এখনো হাসপাতালে ভর্তি আছেন আরও ২৫ জন। প্রতীকী ছবিটি রয়টার্সেরভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার শান্তিপুরের চৌধুরীপাড়া গ্রামে বিষাক্ত চোলাই মদ পান করে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ হয়ে এখনো হাসপাতালে ভর্তি আছেন আরও ২৫ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার বিকেলে এলাকার স্থানীয় চোলাই মদ বিক্রেতা চন্দন মাহাতোর কাছ থেকে মদ কিনে পান করে বেশ কয়েকজন। জানা গেছে, চন্দন মাহাতো এলাকায় গোপনে চোলাই মদ বিক্রি করতেন। পূর্ব বর্ধমানের কালনা থেকে নদীপথে এই মদ চোরাইপথে আনা হতো।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই শুরু হয় মৃত্যুর ঘটনা। শুরু হয় পেটে যন্ত্রণা এবং বমি। সঙ্গে সঙ্গে বিষাক্ত মদে আক্রান্ত নারী-পুরুষকে নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমানের কালনা হাসপাতাল, হুগলির উত্তরপাড়া স্টেট হাসপাতাল, কৃষ্ণনগর জেনারেল হাসপাতাল এবং কল্যাণী হাসপাতালে। মঙ্গল ও বুধবার—এই দুদিনে মারা যায় ১০ জন। আজ বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয়েছে আরও দুজনের।
এদিকে এমন ঘটনার পর পশ্চিমবঙ্গ সরকার নিহত পরিবার পিছু ২ লাখ রুপি করে আর্থিক অনুদানের কথা ঘোষণা করেছে। এই ঘোষণার সমালোচনা করেছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি, কংগ্রেস ও বাম দলগুলো। তারা বলছে, চোলাই মদ যেখানে নিষিদ্ধ করা উচিত, সেখানে নিহতদের ২ লাখ রুপি করে অনুদান দেওয়া ঠিক নয়। এভাবে পরোক্ষভাবে চোলাই মদ পানে উৎসাহ দিচ্ছে সরকার।
নদীয়ার পুলিশ সুপার রূপেশ কুমার বলেছেন, বিষাক্ত মদ খেয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। মদ বিক্রেতা চন্দন মাহাতো ও তাঁর এক আত্মীয় মারা গেছেন। এই ১২ জনের মধ্যে একজন নারী রয়েছেন। মৃত ও অসুস্থ ব্যক্তিরা পেশায় দিনমজুর। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার জন্য পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। পাশাপাশি থানার ওসি, দুই সার্কেল ইন্সপেক্টরসহ আবগারি দপ্তরের ১১ জন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত করছে সিআইডি।