মাহদী হাসান শরীফ: ভারতের সীমান্ত ঘেঁষে অপরূপ সৌন্দর্যের একটি জায়গা হচ্ছে উৎমা-ছড়া। কর্মব্যস্ত জীবনে একটু বিরতির প্রকৃতির ছোঁয়া পেতে পারেন এখানে। শীতল পানিতে গোসলের পর ভুলেই যাবেন আপনার সব ক্লান্তি।
শুধু উৎমা-ছড়াই নয়, এখানে আসলে আপনি যেতে পারবেন বড়ফুঞ্জি বাজার। যেখানে ভারত থেকে আসা বিভিন্ন ধরনের পণ্য আপনি খুব কম দামে কিনতে পারবেন। সাথে অতিরিক্ত হিসেবে দেখতে পারবেন কমলার বাগান। সতর্কতা হিসেবে বলে রাখা ভালো এই এলাকাটি যেহেতু ভারতের সীমান্তঘেঁষা, তাই বেশি ভেতরের দিকে যাওয়া যাবেনা, বিজিবি অনেক সমস্যা করবে।
যেভাবে যাবেন:
দেশের যেকোনো জায়গা থেকে বাস বা ট্রেনের মাধ্যমে সিলেট যেতে হবে। সেখান থেকে মহানগরীর আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে সরাসরি সিএনজি অটোরিকশাযোগে যেতে হবে ৩৫ কিলোমিটার দূরবর্তী দয়ারবাজারে। সড়কের অবস্থা তেমন ভালো না হওয়ায় এ সড়ক পাড়ি দিতে গুণতে হবে জনপ্রতি ১৮০ টাকা। দয়ারবাজার থেকে আবার সিএনজি অটোরিকশাযোগে আট কিলোমিটার দূরবর্তী চড়ারবাজারে যেতে হবে। এজন্য জনপ্রতি ভাড়া ২৫-৩০ টাকা পড়বে। চড়ারবাজার থেকে ১৫ মিনিটের মতো হাঁটলেই পেয়ে যাবেন উৎমা-ছড়া। এছাড়া বিছনাকান্দি থেকে হেটে সীমান্ত ধরে পাহাড়ের পাদদেশ দিয়ে গেলেও উৎমা-ছড়ায় যাওয়া যাবে। সময় লাগবে ৩ ঘন্টা।
এখন অনেকেরই প্রশ্ন থাকতে পারে একদিনে কি ‘সাদাপাথর’ আর ‘উৎমা-ছড়া’ দুটি জায়গাতেই যাওয়া সম্ভব কিনা? উত্তরটা হল, অবশ্যই পারবেন, তবে সকাল ৭/৮ টার মধ্যে বের হতে হবে।
সাদা পাথরের জায়গায় কাপড় পাল্টানোর জায়গা রয়েছে কিন্তু উৎমা-ছড়াতে নেই। যারা বাইক নিয়ে যাবেন তারা টুকেরবাজার থেকে গাইড নিয়ে যেতে পারেন। মোটরসাইকেলও ভাড়া পাওয়া যায়। ভাড়া ওদের সাথে কথা বলে ঠিক করে নিতে হবে। সারাদিনের জন্য ভাড়া ১০০০ টাকার মত হবে।