মঙ্গলবার(৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে দক্ষিণ শহরতলির গুরুত্বপূর্ণ ওই সেতুটি ধসে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
দেশটির গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডায়মন্ড হারবার রোডের ওপর এ সেতুটির নিচেই রয়েছে ট্রেনের লাইন। তার ওপরই সেতুটি ভেঙে পড়ে ওই সময় সেতুর ওপরে যাত্রীবোঝাই বাস, কিছু ট্যাক্সি এবং বাইকও ছিল। ঘটনার পর বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বেশি কিছু রক্তাক্ত দেহ ও ভাঙা গাড়ি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, হঠাৎ প্রবল আওয়াজে সেতুর মাঝের অংশ ভেঙে পড়ে। এতে সেতুর ওপরে যানবাহনগুলো ছিটকে পড়ে। বাসসহ বিভিন্ন যানবাহনের আরোহীরা গুরুতর আহত হন।
দুর্ঘটনার পরই ঘটনাস্থলে পৌঁছান পুলিশের কর্মকর্তারা এবং উদ্ধারকারী দল।উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘সেতু ধসের ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক।’ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনায় মর্মাহত বলে জানিয়েছেন। তিনি এ মুহুর্তে জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ এবং উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যেতে বলেছেন। ঘটনা তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এর আগে আড়াই বছর আগে পোস্তায় ভেঙে পড়েছিল সেতু। সেই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ২৭ জনের। আহত হয়েছিলেন অন্তত ৮০ জন।