আমাদের দেশে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। আর এই সম্পর্কে নারী-পুরুষ দুজনেই সমান দায়ী। কে না জানে- এক হাতে তালি বাজে না!
পরকীয়ার বিয়েতে একটা বিষয় জন্ম নেই , যা সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হয় , তা হলো নারী কিংবা পুরুষ সবসময় নিজেকে বোঝাতে চেষ্টা করে তারা কোন ভুল করেনি কিন্তু নিজের ঘরভাঙার বেদনা তাদেরকে সবসময় অনুতপ্ত করে । আমাদের উপমহাদেশে পরিবারপ্রথা এখনও যথেষ্ট শক্ত । যেকারণে পরকীয়া এবং বিয়ে দুটোই পরিবার , বন্ধু ও সমাজে ঘৃন্য হিসেবে গৃহিত হয় । যেকারনে একাকী উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হয় , এই নিয়ে দুজনের ভুল বোঝাবুঝির অন্ত থাকেনা । আগের ঘরে সন্তান থাকলে সেই মা কিংবা পিতা ঐ সন্তানদের নিয়ে এক বিরাট জটিলতায় পড়েন , যা একসময় ছেলে-মেয়ের জীবন নষ্ট হওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়াই । কাজেই পরকীয়া করলে এই সকল জটীলতা মোকাবেলা করার প্রস্তুতি নিন ।
সঙ্গীর কাছ থেকে অনেক কিছু প্রত্যাশা থাকে নারীর। অনেক আশা করে বিয়ে করেছেন, কিন্তু সেই আশা পূরণ হয়নি। এমন ক্ষেত্রে পুরুষেরা শুরু করেন নতুনের খোঁজ।আমাদের দেশে মহিলাদের মধ্যে পরকিয়া পশ্চিমা বিশ্বের মত খুব একটা তিব্র নয় যতোটা পুরষদের মধ্যে আছে । পুরুষদের পরকীয়া প্রেমের ক্ষেত্রে তৃতীয় নারীটি তার চেয়ে কম বয়সী কোন মহিলা এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে যুবতীও হয়ে থাকেন । মহিলাদের ক্ষেত্রে তৃতীয় ব্যাক্তিটি সাধারণত কোন মধ্যবয়সী পুরুষ হয়ে থাকে ।
৩০-৪৮ বছর বয়সীদের মধ্যে পরকীয়া প্রেম বহুলভাবে পরিলক্ষিত হয় ।অধিকাংশ পুরুষ নিজের চাকুরী, ক্যারিয়ার বা ব্যবসা নিয়ে এতো ব্যস্ত হয়ে পরে যে স্ত্রীকে একটু সময় দেয়ার মতো সময় তার হাতে নেই । সারাদিন বাসার বাইরে থাকার পর রাতে একটু বাসায় ফেরার পর দেখা যায় স্ত্রী- সন্তানকে সময় দেয়া কি স্ত্রী সন্তান একটু কাছে ঘেঁষে একটু সময় একটু ভালোবাসা সুলভ আচরণ প্রত্যাশা করলে সেটাকে বাড়াবাড়ি ভেবে বসেন ।বিয়ের আগেও অনেক স্ত্রীর অভ্যাস থাকে একসঙ্গে একাধিক সম্পর্ক বয়ে চলা। তাই স্ত্রী যতই উপযুক্ত হোক না কেন, দৃষ্টি গড়ায় নতুনের খোঁজে। পুরনো অভ্যাস তাকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায়।