প্রাণ কোম্পানি ফ্রুটো ম্যাংগো জুসের মতো একদম হুবহু দেখতে। একই রঙ, একই আকারের বোতল, লেভেলও হুবহু। কিন্তু আসলে এটি নকল। তৈরি হয়েছে খাবারের অনুপযোগী রঙ এবং বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহার করে।
সোমবার (১ অক্টোবর) নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে একটি ভেজাল জুস তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে এই চিত্র দেখে বিএসটিআই ও র্যাব-১০ এর ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আর অভিযান পরিচালনাকারী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম গোটা দৃশ্য দেখে হতবাক হয়ে যান। শিশুরা এই জুস খাচ্ছে দেখে অসহায় বোধ করেছেন তিনি।
প্রতিষ্ঠানটি থেকে এর মালিক ও ব্যবস্থাপকসহ সাত জনকে আটক করে প্রত্যেককে ১৫ দিন থেকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি জরিমানা করা হয়েছে ১১ লাখ টাকা।
কারখানাটিতে গিয়ে ভেজাল জুস তৈরি করতে রঙ মেশাতে দেখা যায়। হাতেনাতে ধরা হয় কর্মীদেরকে। আর তারা কোনো জবাবই দিতে পারছিল না।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম ব্রেকিংনিউজকে জানান, কারখানায় যে রঙ ব্যবহার করা হয়েছে, সেটি খাবারের নয়। কাপড়ে ব্যবহার করা হয় এই রঙ। ম্যাংগো জুস নামে বেচলেও তাতে আমের কোনো পাল্প নেই। পানির সঙ্গে গন্ধের জন্য দেয়া হয় ম্যাঙ্গো ফ্লেভার। আর মিষ্টি করতে দেয়া হয় স্যাকারিন।
এই জুসগুলো সাধারণত শিশুরাই পান করে। আর কারখানায় গিয়ে হতভম্ভ ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, আমাদের শিশু কিশোররা কী খাচ্ছে?
তিনি আরও বলেন, যে আম বা কমলার জুস খাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরণের বায়না ধরে থাকে, সেগুলো যে কী দিয়ে তৈরি হয় তা নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। ফলের জুসের কথা বলা হলেও বাস্তবে ফলের কোন পাল্প এসব ফ্যাক্টরিতে পাওয়া যায় না।