গত কয়েকদিন ধরে খ্যাতনামা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় উত্তাল দেশের শিক্ষাঙ্গণ।
এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে নানাভাবে শিক্ষার্থীদের নাজেহাল করছেন শিক্ষকরা।বেশিরভাগ শিক্ষকরা জানেনই না কীভাবে শিক্ষাদান করতে হয়। বিষয়টি সরব হয়েছেন বিশিষ্ট নারী লেখক, সাহিত্যিক ও চিকিৎসক তসলিমা নাসরিনের।
নারায়ণগঞ্জে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে এক শিক্ষককে কানে ধরে উঠ-বস করানোর ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যখন তোলপাড় তখন এ ব্যাপারে মুখ খুললেন বাংলাদেশ থেকে নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। এ ব্যাপারে তিনি ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন।
বাংলাদেশের কান্ডকারখানা দেখে বড় দুঃখ হয়, বড় রাগ হয়। সেদিন নারায়ণগঞ্জের এক ইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে যখন একপাল লোক অসৎ উদ্দেশে হেনস্থা করছিল, সরকারি এক প্রতিনিধি এসে ওই লোকগুলোকে শাস্তি না দিয়ে শাস্তি দিলেন শিক্ষককে।
শিক্ষককে তার ছাত্র এবং গ্রামবাসীর সামনে কান ধরে ওঠবস করতে হলো। শিক্ষকের এই অপমান, এই লাঞ্ছনা কোনও সুস্থ সচেতন মানুষের ভালো লাগার কথা নয়।
তসলিমা লিখেছেন, অরিত্রি অধিকারী নামে একটি ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে কারণ পরীক্ষা দিতে গিয়ে নিজের মোবাইল ফোন থেকে কিছু টুকেছিল বলে স্কুলের প্রিন্সিপাল তাকে পরীক্ষা দিতে দেননি, স্কুল থেকেও তাড়িয়ে দেবেন বলে দিয়েছিলেন। অরিত্রির বাবা-মা স্কুলের প্রিন্সিপালকে অনেক অনুরোধ করেও সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করাতে পারেননি।
ক্ষমা চেয়েও ক্ষমা পাননি। অরিত্রি ক্ষোভে যন্ত্রণায় লজ্জায় অপমানে আত্মহত্যা করেছে। এ কোনো নতুন ঘটনা নয়। টিচারদের কারণে স্কুল থেকে ফিরে অনেক ছাত্র ছাত্রীই আত্মহত্যা করে।
স্কুল কলেজে টিচারের চাকরি করা, আর ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষিত করা দুটো আলাদা জিনিস। কাউকে শিক্ষিত করতে হলে নিজে শিক্ষিত হতে হয়। যেটি আমাদের স্কুল কলেজের অধিকাংশ টিচারই নন।