গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, প্রত্যেক ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতির ফলে আসন্ন ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচন নিয়ন্ত্রণে সরকারের কোনো পরিকল্পনা কাজে আসবে না।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন তফসিল অনুযায়ী আগামী ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন হবে। আর খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন ২ জানুয়ারি। তিনি মুক্ত হবেন ন্যায় বিচারের মাধ্যমে। কারও দয়ায় নয়। খালেদা জিয়ার প্রতি কোনও দয়া চাই না, মুক্তিও চাই না। তার প্রতি সুবিচার চাই। সুবিচার হলেই তিনি মুক্তি পাবেন।
শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে জাতীয়তাবাদী চালক দল-এর উদ্যোগে ‘নির্বাচন ব্যর্থ ও প্রশ্নবিদ্ধ গণতন্ত্রের কী হবে?’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন
সরকারের উন্নয়নের সমালোচনা করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘এই সরকারের আমলনামায় আছে উন্নয়ন জোয়ার। আর এই উন্নয়ন হলো ইয়াবা উন্নয়ন। বিনা বিচারে হত্যা গুম খুনের উন্নয়ন।’ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘৮টা থেকে না, জনগণ ভোর পাঁচটা থেকে ভোটকেন্দ্রে যাবে।
আর আপনাদের দায়িত্ব জনগণকে ভোট কেন্দ্রে পৌঁছানো। কোনও ক্রমেই আনবেন না, নির্বাচনে থাকবো না বা থাকছি না- এই অবাঞ্ছিত প্রশ্ন ভুলে যান।’ তিনি বলেন, আজকে দেশে এত উন্নয়ন হয়েছে, হাসিনার সম্পদ দিগুণ হয়েছে, খালেদার পারসোনাল আয় অর্ধেকে নেমে এসেছে। এই তথ্য হাসিনা সরকারের নির্বাচন কমিশনের।’
সামরিক বাহিনীকে উদ্দেশ করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, আপনারা একটি বিশেষ প্রতিষ্ঠানের। কোনো দলের ক্যাডার নন। পুলিশ ও আমলা এক হয়েছে, সামরিক বাহিনী নয়। আপনারা জনগণের নিরাপত্তা দিন, দেশকে রক্ষা করুন।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি জসিম উদ্দিন কবিরের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, হাবিবুর রহমান হাবিব, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সাবেক ছাত্রনেতা কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন ও ভাষা অনুষদ পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু।