মানিকগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মাওয়া-কাওড়াকান্দি রুটের যানবাহন দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ঘাট দিয়ে পারাপার হওয়ায় যানবাহনের চাপ বেড়ে যাচ্ছে। ফলে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া ঘাটের সৃষ্ট যানজট অব্যাহত রয়েছে। নদী পারের অপেক্ষায় শনিবার সকালে দৌলতদিয়া ঘাটে মহাসড়কের উপর ২কিলোমিটার এবং পাটুরিয়া ঘাটে ১কিলোমিটার এলাকায় দীর্ঘ সারিতে ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরনের ৬শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে আছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে আসা নৈশকোচগুলো পার হয় শনিবার সকাল ৮টার পর।
বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানাযায় মাওয়ায় নাব্যতা সংকটের কারণে ঐ রুটে দফায় দফায় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকছে। ফলে ঐ রুটের যানবাহনগুলো পাটুরিয়া -দৌলতদিয়া নৌ পথ ব্যাবহার করছে। এতে এ নৌরুটে যানবাহনের চাপ বেড়ে গেছে। যানবাহনের তুলনায় ফেরি কম হওয়ায় ফেরি পারাপরে অচলবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
মাওয়া রুটের গাড়িগুলো দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া ঘাট দিয়ে পারাপার হচ্ছে। এতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে যানবাহনের এ বাড়তি চাপে গত কয়েকদিন ধরে তীব্র যানজট শুরু হয়েছে।
শনিবার সকালের দিকে ট্রাকের সারি দৌলতদিয়া প্রান্তে ২ কিলোমিটার ছাড়িয়ে যায়। নৈশ কোচ গুলো যথাসময়ে পার হতে না পেরে শনিবার সকালে পার হয়।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা অঞ্চলের মেরিন অফিসার সায়েদুর রহমান জানান, এক দিকে যানবাহনের বাড়তি চাপ অপরদিকে দুটি রো-রো ফেরি মেরামতে থাকায় ফেরির কিছুটা স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ পথে চলাচলরত মোট ৮টি রো রো ফেরির মধ্যে শাহ পড়ান ও শাহ মুখদুম ২টি রো রো (বড়) ফেরি পাটুরিয়া ভাসমান স্থানীয় ডকইয়ার্ডে মেরামতে রয়েছে। বর্তমানে এ রুটে ৬টি বড় ও ৩টি ছোট ও ৬টি ইউটিলিটি ফেরি রয়েছে। এমতবস্থায় পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম ক্ষেতে হচ্ছে।
অপরদিকে আসন্ন দুর্গাপুজা উপলক্ষে যাত্রী ও যানবাহনের বাড়তি চাপ পড়তে শুরু করেছে। এ অবস্থায় দ্রুত দৌলতদিয়া পাটুরিয়া রুটে ফেরি বৃদ্ধি এবং মাওয়া-কাওড়াকান্দি রুটে বিকল্প ঘাটের ব্যবস্থা করা না হলে দক্ষিনাঞ্চলের লক্ষ লক্ষ মানুষকে চরম দুর্ভোগে পড়তে হবে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
ফেরির মাস্টাররা জানান, একদিকে নদীতে দ্রুত গতিতে পানি কমছে, অপরদিকে পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া নৌ চ্যানেলে ড্রেজিং চলছে। ড্রেজিং কাজের জন্য দৌলতদিয়া ঘাটের কাছে গিয়ে ফেরি ভীরতে ও ছাড়তে সমস্যা হচ্ছে।এতে স্বাভাবিক ফেরি চলাচল ব্যহত হচ্ছে।