স্টাফ করেসপন্ডেন্ট: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ অভিযোগ করে বলছেন, সরকার
ইচ্ছাকৃতভাবে সুষ্ঠ নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করছে। শনিবার (০৬ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরামের উদ্যোগে “দেশ মাতা বেগম খালেদা জিয়া ও জননেতা তারেক রহমান এর মিথ্যা মামলা ও সাজা বাতিল এবং হাবিব উন নবী খান সোহেল সুলতান সালাউদ্দিন টুকু সহ সকল রাজ বন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে” নাগরিক প্রতিবাদ সভায় “তিনি এই অভিযোগ করেন।
মওদুদ বলেন, সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে, সুপরিকল্পিতভাবে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তাই করছে। তারা যে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন চায় না, সেটা এরই মধ্যে প্রমাণ করে দিয়েছে। নির্বাচনের আর ৩ মাস বাকি, দেশের সকল জনগন ভেবেছিল একটি সুষ্ঠু প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কিন্তু সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন না করে এক দলীয় ভাবে নির্বাচন করতে চায়। প্রত্যেক রাজনৈতিক দল নিজস্ব মতামত প্রকাশ করতে পারবে এবং নিজস্ব রাজনৈতিক কর্মসূচি তারা গ্রহণ করতে পারবে। কিন্তু ক্ষমতাসীন দল একটি নীতি করলো যে, কিভাবে বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রাখা যায় সেই ব্যবস্থা করা। নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু করার দায়িত্ব যেই সরকারের ওপরে সেই সরকারের কর্মকান্ড দেখলে বুঝা যায় তারা সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন হোক এটা চান না।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করে সংবাদপত্রকে স্তব্ধ করে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে এমন অভিযোগ করে মওদুড বলেন, এখানে ৪৭ ধারায় পুলিশকে সীমাহীন ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যেটা রক্ষীবাহিনীর সময় ছিল। পুলিশ যেকোনো সময়, যেকোনো বাড়িতে, যে কারো অফিসে প্রবেশ করতে পারবে বিনা ওয়ারেন্টে। আদালতের কোনও অনুমতির প্রয়োজন নাই। শুধু তাই না, বাড়িতে গিয়ে আপনার যে কম্পিউটার সহ সবকিছু তারা জব্দ করে নিয়ে যেতে পারবে। তার জন্য আবার কোনও জব্দ তালিকাও দিবে না কেউ। নির্বাচনের আগে এধরণের আইন করা মানে বাংলদেশের সংবাদপত্র যেন কিছু না লিখতে পারে।
নাগরিক অধিকার আন্দোলনের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব ভিপি ইব্রাহীমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম এর সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, জাতীয় নির্বাহী কমিটির
সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, নির্বাহী কমিটির সদস্য মিসেস সাবিরা নাজমুল, জিনাফ সভাপতি লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উদ্দিন, ছাত্রদলের সহ
সাধারণ সম্পাদক আরিফ সুলতানা রুমা প্রমুখ।