দেশে আবারও গ্যাসের দাম বাড়ছে। বাসা-বাড়ি বাদে শিল্প কারখানা, বিদ্যুৎকেন্দ্র, ফিলিং স্টেশন, সার কারখানা ও চা প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে নতুন করে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পেতে পারে। সোমবার (৮ অক্টোবর) দাম বাড়ার আনু্ষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে। তবে দাম কতটা বাড়ানো হবে, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।
রবিবার (৭ অক্টোবর) বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বিইআরসি’র এক সিনিয়র সহকারী সচিব জানান, সুনির্দিষ্ট করে দর ও তারিখ বলা যাচ্ছে না। কারণ দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্তটি উচ্চপর্যায় থেকে আসে। তবে এই সপ্তাহের মধ্যেই বিষয়টির ঘোষণা আসবে এতটুকু বলতে পারছি এখন।
এর গত ১৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী জানিয়েছিলেন, উচ্চমূল্যের এলএনজির (তরল প্রাকৃতিক গ্যাস) দাম সমন্বয় করতে নির্বাচনের আগে আবাসিক বাদ দিয়ে অন্য সব খাতে গ্যাসের দাম বাড়াতে যাচ্ছে সরকার। তবে এ বৃদ্ধি যেন সহনীয় হয়, সেদিকে দৃষ্টি রাখতে বিইআরসিকে বলা হয়েছে।
গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ওপর গত জুলাইয়ে গণশুনানি হয়েছে। শুনানিতে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের গড় দাম সাত টাকা ৩৯ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১২ টাকা ৯৫ পয়সা করার প্রস্তাব করেছে কোম্পানিগুলো।সব মিলিয়ে ৭৩ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। শুনানিতে পেট্রোবাংলার পক্ষ থেকে বলা হয়, ভ্যাট, ব্যাংক চার্জ, রিগ্যাসিফিকেশন চার্জসহ নানা ধরনের চার্জ যোগ করে আমদানি করা এলএনজির বিক্রয়মূল্য দাঁড়াবে ৩৩ টাকা ৪৪ পয়সা;যা বর্তমানে বিক্রিত গ্যাসের চারগুণ বেশি। শুনানি শেষ হওয়ার ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়ার কথা।
এর আগে গত বছর মার্চ মাসে গ্যাসের দাম বাড়িয়েছিল সরকার। এর তিন মাস পরই গ্যাসের দাম ফের বাড়ানো হলেও হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞায় মার্চ মাসের নির্ধারিত দামে ফিরে গিয়েছিল গ্যাসের দাম। আইন অনুযায়ী একই অর্থবছরে দুই দফায় জ্বালানির দাম বাড়াতে পারে না বিইআরসি।
বিদেশ থেকে আমদানি করা এলএনজির কারণেই মূলত এবার গ্যাসের দাম বাড়ছে বলে জানা গেছে।