পরিচালক রাজ চক্তবর্তীর সঙ্গে গত মে মাসে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর বেশ পরিবর্তন এসেছে টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলীর জীবনে।
বিয়ের আগে শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘হনিমুন’। আর বিয়ের পর প্রথম ছবি হিসেবে ২১ ডিসেম্বর মুক্তি পেতে চলেছে ‘রসগোল্লা’। এছাড়া আর তেমন কোনো কাজ করছেন না তিনি। বরং সিনেমায় কাজ করার চেয়ে বিবাহিত জীবন উপভোগ করছেন বলে জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
বিয়ের পর প্রথম ক্রিসমাস আসছে রাজ-শুভশ্রীর জীবনে। উপলক্ষটা খুবই স্পেশ্যাল শুভশ্রীর কাছে। কারণ ‘রসগোল্লা’ মুক্তির দিনই মুক্তি পাবে রাজ চক্রবর্তীর ছবি ‘অ্যাডভেঞ্চারস অব জোজো’। অর্থাৎ বক্স অফিসে মিয়া-বিবির সহাবস্থান। তবে এটাকে লড়াই হিসেবে দেখতে নারাজ শুভশ্রী। বরং সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদ হিসেবে দেখতে চান নায়িকা।
হুম ল্যান্ডফোনে, এবং খুব মজার ব্যাপার, সব সময়ই তো আর ফোনের কাছে থাকা হয় না। যখন উনি ফোন করতেন যদি কাজের মেয়েটা ফোন ধরত উনি বলতেন, এটা কি কমলাপুর রেলস্টেশন? কাজের মেয়ে বলত জ্বি না। পরপর তিনচারবার কমলাপুর রেলস্টেশনের ফোন আসছে, প্রথম প্রথম আমি খুব রাগ করে ফোনটা ধরলাম তখন দেখি যে উনি। বাসায় এটা প্রতিষ্ঠিত হলো যে, ফোনে কেউ যদি উল্টা পাল্টা কথা বলে, তাহলে পরের ফোনটাই আমি ধরব।
আমি নিশ্চিত যে কাজের মেয়েরা ফোন ধরলে বলবে এটা কি রেলস্টেশন কিনা, বা এটা কি ধর্মমন্ত্রীর বাড়ি, নয় বলবে এটা কী শাহবাগের ওসির বাড়ি। ফোনে আমাদের প্রচুর গল্প হতো। এটাকে আসলে খুনসুটি বলব কিনা বুঝতে পারছি না।
যখন আমাদের কন্যা লীলাবতি মারা গেল তখন আমি ওনাকে প্রথম কাঁদতে দেখি। হাউ-মাউ করে কান্না করতে দেখেছি। ওনার পুত্র কন্নাদের জন্য ওনার প্রচণ্ড একটা হাহাকার ছিল। উনি তাদের জন্য মাঝে মধ্যেই কান্না করতেন এই বারান্দায় বসে। গল্প করতে গিয়েই আসলে চোখ দিয়ে পানি চলে আসত। হয়তো বিপাশার ছোটবেলার কোনো একটা গল্প করছেন, হয় না স্বামী স্ত্রীর একসঙ্গে বসে গল্প করা। তখন হয়তো বলে উঠলেন, জানো বিপাশা না আমার বুকের উপর রাখলেই ঘুমিয়ে যেত।