বিজিবি দিয়ে ঘেরাও করে বিএনপির ৭৯ নেতা-কর্মী আটক, অতপর:

0
604

লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধায় ধানের শীষের উঠান বৈঠক থেকে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ৭৯ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ ও বিজিবির যৌথ টিম। মঙ্গলবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটে।

আটকদের মধ্যে উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রাফিউদ্দারাজ রানু মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক বাদলসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতা-কর্মী রয়েছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে উত্তর জাওরানী গ্রামে এক বিএনপি নেতার বাড়িতে উঠান বৈঠক চলার সময় বাড়িটি ঘিরে ফেলে বিজিবির জাওরানী কাম্পের সদস্যরা। পরে ঘটনাস্থল থেকে ৭৯ নেতা-কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে বিকাল ৫টার দিকে হাতীবান্ধা থানায় নিয়ে আসা হয়।

এ ব্যাপারে স্থানীয় বিএনপি প্রার্থী ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান বলেন, ‘ছাতুর দিঘী বাজার সংলগ্ন আমিনের বাড়িতে ধানের শীষের উঠান বৈঠক চলছিল। কিন্তু বিজিবি হঠাৎ করেই বাড়িটি ঘিরে ফেলে। পরে সেখান থেকে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের ৭৯ নেতা-কর্মীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।’

আটক নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সাথে কথা বলছি। কিন্তু পুলিশ সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি’

এ বিষয়ে হাতিবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, ‘সীমান্ত এলাকায় বৈঠকের বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হলে বিজিবি বৈঠকটি ঘিরে রেখে পুলিশে খবর দেয়। সেখান থেকে ৭৯ জনকে জিজ্ঞসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

জানতে চাইলে লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।’

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফ সাংবাদিকদের বলেন, আটকরা কারা এবং কী কারণে বৈঠক করছিলেন তা তদন্ত করে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। সেই সাথে নির্দোষ লোককে গ্রেপ্তার না করতেও বলা হয়েছে। খবর ইউএনবি।

খাবার বিতরণ নিয়ে ছাত্রলীগ দু’পক্ষের সংঘর্ষ, কুপিয়ে জখম

ঝালকাঠি-২ আসনের নৌকা প্রতীকের উঠান বৈঠন শেষে খাবার বিতরণকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দু পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় জাকি মুজাহিদ সাকবি (২০) নামে এক কর্মীকে কুপিয়ে জখম করার অভিযেগ উঠেছে। গত সোমবার সন্ধ্যায় পৌর শহরের পূর্ব চাঁদকাঠি জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) জেলা অফিসের সামনে এ ঘটান ঘটে। শাকিব বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে ভর্তি আছে। স্বজনরা জানিয়েছ তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার বিকেলে শহরের পূর্ব চাঁদকাঠিতে নৌকা প্রতীকের উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। নৌকার প্রার্থী শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষ করে পার্শ্ববর্তী এবায়দুল্লাহ মসজিদে নামাজের উদ্দ্যেশে যান। এ সময় উঠান বৈঠকস্থলে খাবার বিতরন চলছিল। তখন উঠতি বয়সী ছাত্রলীগের কর্মীদের সাথে শহর ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক জুবায়ের হোসেনের সাথে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। পরে লাঠি ও জিআই পাইপ নিয়ে দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে।

এতে জেলা ছাত্রলীগের সদস্য ও জেলা জজ আদালতের কর্মচারী জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে শাকিবের মাথায় ধারালো অস্ত্রে আঘাত লাগে। এ সময় চাঁদকাঠি এলাকা রনক্ষেত্রে পরিনত হয়। এ সময় ৫/৬ জন ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়। আহতদের মধ্যে গুরুতর আহত শাকিবকে তাৎক্ষনিক বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পরে রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যায় স্বজনরা। সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িয়ে পরা সকলেই পৌর কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা হাফিজ আল মাহমুদের অনুসারি। আহত সাকিব জেলা ছাত্রলীগের সদস্য।

জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন , আমার ছেলের অবস্থার ভালো না। সে ঢাকা মেডিকেল চিকিৎসাধীন আছে।

পৌর কাউন্সিলর হাফিজ আল মাহমুদ জানান , নিজেদের মধ্যে সামান্য বিষয় নিয়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে শাকিবের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সফিকুল ইসলাম বলেন , সাকিবকে যারা কুপিয়ে জখম করেছে তারা ছাত্রলীগের অনুপ্রবেশকারী একসময়ের ছাত্রশিবিরের সক্রিয় কর্মী। এ ঘটনার বিচার ও তীব্র নিন্দা জানাই।

এ ব্যাপারে ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শোনিত কুমার গায়েন জানান, খাবার বিতরণ নিয়ে দু-পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। সেখানে পুলিশ উপস্থিত হয়ে নিয়ন্ত্রণে আনে। এর মধ্যে শাকিব নামের একজন আহত হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here