দেশী সংবাদ ডেস্ক- এক মাস সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নেয়ার পর শুক্রবার (০৫ এপ্রিল) বিকালে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এদিকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়ে বাসায় ফিরেই প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন ওবায়দুল কাদের। বাংলাদেশ সময় শনিবার সকাল আটটা এবং সিঙ্গাপুর সময় সকাল ১০টা নাগাদ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এ নেতা।
সূত্র জানায়, এসময় প্রধানমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের শরীরের খোঁজ-খবর নিয়েছেন। কাদের সুস্থ হয়ে ওঠায় তিনি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেছেন। প্রধানমন্ত্রী তাকে রাজনীতি বা অন্য কোনো বিষয়ে চিন্তা না করে আগামী দুই তিন সপ্তাহ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সম্পূর্ণ বিশ্রাম নেওয়ার কথা বলেছেন।
জবাবে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ এবং সহানুভুতির কারণেই তার সুচিকিৎসা সম্পন্ন হয়েছে।
এসময় ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রীর সঙ্গেও প্রধানমন্ত্রী বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা আবু নাছের টিপু জানান, হাসপাতালের কাছেই একটি বাসা ভাড়া নেওয়া হয়েছে সেতুমন্ত্রীর জন্য। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী আপাতত সেখান থেকেই তার ফলোআপ চিকিৎসা হবে।
“উনি শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন। উনার হার্ট, ব্লাড প্রেশার, ডায়াবেটিস সবই ভালো আছে। দুই তিন সপ্তাহ পরে পরবর্তী ফলোআপ করে উনি দেশে ফিরে যাবেন।”
৬৭ বছর বয়সী ওবায়দুল কাদের হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ছাড়াও শ্বাসতন্ত্রের জটিল রোগ সিওপিডিতে (ক্রনিক অবসট্রাকটিভপালমোনারি ডিজিজ) ভুগছিলেন। গত ২ মার্চ সকালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ভর্তি হলে এনজিওগ্রামে কাদেরের হৃদপিণ্ডের রক্তনালীতে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর মধ্যে একটি ব্লক স্টেন্টিংয়ের মাধ্যমে অপসারণ করেন চিকিৎসকরা।
কয়েকদিন চিকিৎসার পর অবস্থার উন্নতি হলে গত ২০ মার্চ কার্ডিও থোরাসিক সার্জন ডা. শিভাথাসান কুমারস্বামীর নেতৃত্বে কাদেরের বাইপাস সার্জারি হয়। ছয় দিন পর তাকে আইসিইউ থেকে স্থানান্তর করা হয় কেবিনে। সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন ওবায়দুল কাদের।
অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ৪ মার্চ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেই রাতেই একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করে ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসা শুরু করেন মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের চিকিৎসকরা।