গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, বর্তমান বাজেট আমরা সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করছি। অনির্বাচিত প্রতিনিধিদের সরকার পরিবর্তনে রাজনৈতিকভাবে যা যা করা দরকার তা জনগণকে সাথে নিয়ে করা হবে। প্রস্তাবিত বাজেটের প্রতিক্রিয়া জানাতে গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে আয়োজিত গণফোরামের সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, দেশের মালিকের ভূমিকা থাকতে হলে দেশের আয়-ব্যয় সম্পর্কে জানা উচিৎ। যাতে জনগণ সত্যিকার অর্থে দেশের মালিকের ভূমিকা পালন করতে পারে। এক প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল বলেন, এসব ব্যাপারে জানার পর জনগণ সক্রিয়ভাবে সংগঠিত হবেন, সোচ্চার হবেন এবং সরকার পরিবর্তনের জন্য যা কিছু প্রয়োজন তাই করবেন। এসময় তিনি বলেন, যেহেতু এই বাজেটে জনগণের স্বার্থ উপেক্ষা করা হয়েছে তাই আমরা এই বাজেটকে সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাকখান করছি। ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে বাজেট প্রত্যাখ্যান করছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, গণফোরাম বাজেট প্রত্যাখ্যান করেছে। বিএনপি আলাদাভাবে বাজেট প্রত্যাখ্যান করেছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টেরপক্ষ থেকে বসে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
বাজেট কেবল সরকারের পরবর্তী বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব নয়। এটি আসন্ন বছরগুলোতে সরকারের নীতি কৌশল কী হবে তারও একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। এই বাজেট দুটি বিবেচনায় হতাশাজনক। প্রথমত এটি রাজস্ব ও ঋণের সঠিক প্রাক্কলন প্রদানে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বাজেট ঘাটতি বিবেচনায় নিতে ব্যর্থ হয়েছে। আর দ্বিতীয়ত এ বাজেটে বিগত বছরগুলোর হঠকারী বাজেট ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতির ফলে আর্থিক খাতে ও সার্বিক অর্থনীতিতে সৃষ্ট আসন্ন সংকট উদ্ভূত ঝুঁকি সম্পর্কে অজ্ঞতা প্রদর্শন করা হয়েছে। এই বাজেটে অর্থনীতি এখন সত্যিকারের যে বিপদের সম্মুখীন সে সম্পর্কে অজ্ঞতা প্রকাশ পেয়েছে।