সারাবছরই চলবে ভেজাল বিরোধী অভিযান

0
219

শুধু ঈদ উপলক্ষে বা বিশেষ মাসকে কেন্দ্র করে নয় বরং সারাবছরই ভেজাল ও মানহীন পণ্যের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

রবিবার (১৬ জুন) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী শিহাব উদ্দিন খান। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফরিদুল ইসলাম ও বিএসটিআইয়ের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এম আর হাসান।

এর আগে এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১২ মে হাইকোর্ট এক আদেশে রুল দিয়ে মানহীন পণ্য অবিলম্বে সরাতে ও জব্দে ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছিলেন।

সেই সঙ্গে নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানিয়ে ওই দুই কর্তাব্যক্তিকে আদালতে প্রতিবেদন দিতেও বলা হয়। ২৩ মে অগ্রগতিবিষয়ক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল।

প্রসঙ্গত, গত ৩ ও ৪ মে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে উল্লেখ করা হয়, বিএসটিআই সম্প্রতি ২৭ ধরনের ৪০৬টি খাদ্য পণ্যের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে। এর মধ্যে ৩১৩টি পণ্যের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে ৫২টি প্রতিষ্ঠানের পণ্য নিম্নমানের ও ভেজাল রয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের এ রিপোর্ট প্রকাশ করে বিএসটিআই।

৫২টি পণ্য হলো- ১. সিটি অয়েলের সরিষার তেল (তীর), ২. গ্রিন ব্লিচিংয়ের সরিষার তেল (জিনি), ৩. শমনমের সরিষার তেল (পুষ্টি), ৪. বাংলাদেশ এডিবল অয়েলের সরিষার তেল (রূপচাঁদা), ৫. কাশেম ফুডের চিপস (সান), ৬. আররা ফুডের ড্রিংকিং ওয়াটার (আরা), ৭. আল সাফির ড্রিংকিং ওয়াটার (আল সাফি), ৮. মিজানের ড্রিংকিং ওয়াটার, ৯. মর্ন ডিউয়ের ড্রিংকিং ওয়াটার, ১০. ডানকানের ন্যাচারাল মিনারেল ওয়াটার, ১১. আরার ডিউ ড্রিংকিং ওয়াটার, ১২. দীঘির ড্রিংকিং ওয়াটার, ১৩. প্রাণের লাচ্ছা সেমাই, ১৪. ডুডলি নুডুলস, ১৫. শান্ত ফুডের সফট ড্রিংক পাউডার (টেস্টি, তানি, তাসকিয়া), ১৬. জাহাঙ্গীর ফুড সফট ড্রিংক পাউডার, ১৭. ড্যানিশের হলুদের গুঁড়া, ১৮. প্রাণ এগ্রো লিমিটেডের হলুদের গুঁড়া (প্রাণ), ১৯. তানভীর ফুড লিমিটেডের হলুদের গুঁড়া ফ্রেশ, ২০. এসিআইয়ের ধনিয়ার গুঁড়া, ২১. কারি পাউডার (প্রাণ), ২২. কারি পাউডার ড্যানিস, ২৩. বনলতার ঘি, পিওর হাটহাজারী মরিচ গুঁড়া, ২৪. মিষ্টিমেলার লাচ্ছা সেমাই, ২৫. মধুবনের লাচ্ছা সেমাই, ২৬. মিঠাইয়ের লাচ্ছা সেমাই, ২৭. ওয়েল ফুডের লাচ্ছা সেমাই, ২৮. এসিআইয়ের আয়োডিনযুক্ত লবণ, ২৯. কিংয়ের ময়দা, ৩০. রূপসার দই, ৩১. মক্কার চানাচুর, ৩২. মেহেদীর বিস্কুট, ৩৩.বাঘাবাড়ীর স্পেশাল ঘি, ৩৪. নিশিতা ফুডসের সুজি, ৩৫. মধুবনের লাচ্ছা সেমাই, ৩৬. মঞ্জিলের হলুদ গুঁড়া, ৩৭. মধুমতির আয়োডিনযুক্ত লবণ, ৩৮. সান ফুডের হলুদ গুঁড়া, ৩৯. গ্রিন লেনের মধু, ৪০. কিরণের লাচ্ছা সেমাই, ৪১. ডলফিনের মরিচের গুঁড়া, ৪২. ডলফিনের হলুদের গুঁড়া, ৪৩. সূর্যের মরিচের গুঁড়া, ৪৪. জেদ্দার লাচ্ছা সেমাই, ৪৫. অমৃতের লাচ্ছা সেমাই, ৪৭. দাদা সুপারের আয়োডিনযুক্ত লবণ, ৪৮. তিন তীরের আয়োডিনযুক্ত লবণ, ৪৯. মদিনা স্টারশিপ আয়োডিনযুক্ত লবণ, ৫০. তাজ আয়োডিনযুক্ত লবণ, ৫১. নুরের আয়োডিনযুক্ত লবণ ও ৫২. মোল্লা সল্ট।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here