দেশের শীর্ষ ৩০০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ঋণখেলাপির নাম, ঠিকানাসহ তালিকা জাতীয় সংসদে প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
শনিবার (২২ জুন) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সদস্য মো. ইসরাফিল আলমের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে এ তালিকা দেন অর্থমন্ত্রী। এ প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়। এসময় সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
অর্থমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছে। এরা সরকার থেকে ঋণ নিয়েছে ৭০ হাজার ৫৭১ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি রয়েছে ৫০ হাজার ৯৪২ কোটি টাকা। আর শ্রেণীকৃত ঋণ ৫২ হাজার ৮৩৭ কোটি টাকা।
শীর্ষ ঋণখেলাপি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান
এস কে এন্টারপ্রাইজ ৮৮ কোটি টাকা, সাফিন শিপিং লাইন লিমিটেড ৮৮ কোটি, সুপ্রিম জুট অ্যান্ড নিটেক্স লিমিটেড ৮৮ কোটি, ফরচুন স্টিল ৮৭ কোটি, মোস্তফা ওয়েল প্রোডাক্টস লিমিটেড ৮৬ কোটি, এম এস হাবিবুল ইসলাম ৮৬ কোটি, মাবিয়া স্টিল কমপ্লেক্স লিমিটেড ৮৬ কোটি, পদ্মা এগ্রো ট্রেডার্স ৮৬ কোটি, আমান ট্রেডিং কর্পোরেশন ৮৫ কোটি, পলিমার নিটওয়ার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ৮৫ কোটি, ইমারাল্ড অটোব্রিকস লিমিটেড ৮৫ কোটি, ম্যাজেস্টিক হোল্ডিং লিমিটেড ৮৫ কোটি, ওয়াফা এন্টারপ্রাইজ ৮৪ কোটি, দেশবন্ধু সুগার মিল লিমিটেড ৮৪ কোটি, মনিকা ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল ৮৩ কোটি, এস এ ট্রেডার্স ৮৩ কোটি, দ্য অ্যারিস্টক্র্যাট এগ্রো লিমিটেড ৮৩ কোটি, ইউরোপা বেভারেজ অ্যান্ড ফুডস লিমিটেড ৮৩ কোটি, ফ্যাশন ক্রাফট নিটওয়্যার লিমিটেড ৮৩ কোটি, এটলাস গ্রিনপেক লিমিটেড ৮৩ কোটি।
এছাড়া সামানাজ সুপার ওয়েল লিমিটেড এক হাজার ৪৯ কোটি টাকা, গ্যালাক্সি সোয়েটার অ্যান্ড ইয়ার্ন ডাইং ৯৮৪ কোটি, রিমেক্স ফুডওয়্যার লিমিটেড ৯৭৬ কোটি, কোয়ান্টাম পাওয়ার সিস্টেম লিমিটেড ৮২৮ কোটি, মাহিন এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড ৮২৫ কোটি, রূপালী কম্পোজিট লেদার ওয়্যার লিমিটেড ৭৯৮ কোটি, ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্টস লিমিটেড ৭৭৬ কোটি, এসএ ওয়েল রিফাইনারি লিমিটেড ৭০৭ কোটি, সুপ্রভ কম্পোজিট নিট লিমিটেড ৬১০ কোটি, গ্রামীণ শক্তি ৬০১ কোটি, সুপ্রভ স্পিনিং লিমিটেড ৫৮২ কোটি, কম্পিউটিার সোর্স লিমিটেড ৫৭৫ কোটি, সিমরান কম্পোজিট লিমিটেড ৫৬৪ কোটি, ম্যাক্স স্পিনিং মিলস ৫২৬ কোটি, বেনটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ৫২৩ কোটি, আলফা কম্পোজিট টাওয়েলস লিমিটেড ৫২৩ কোটি, সিদ্দিক ট্রেডার্স ৫১১ কোটি, রুবাইয়া ভেজিটেবল ওয়েলস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ৫০১ কোটি, রাইজিং স্টিল লি. ৪৯৫ কোটি টাকা।
ইমারাল্ড স্পেশালাইজড কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেড ৮৩ কোটি, শাহনেওয়াজ জুট মিলস প্রাইভেট লিমিটেড ৮২ কোটি, মার লিমিটেড ৮২ কোটি, ড্রেস মি ফ্যাশনস লিমিটেড ৮২ কোটি, মোহাম্মদ ইলিয়াস ব্রাদার্স পো ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান লিমিটেড ৮১ কোটি, শাহিল ফ্যাশনস লিমিটেড ৮১ কোটি, ফস্টার রিয়েল এস্টেট লিমিটেড ৮১ কোটি, ইমাম ট্রেডার্স ৮১ কোটি, স্মাহ লিমিটেড ৮০ কোটি, গ্লোব জনকণ্ঠ শিল্প পরিবার ৮০ কোটি, ফিয়াজ এন্টারপ্রাইজ ৮০ কোটি, এম নূর সোয়েটার্স লিমিটেড ৭৯ কোটি, খান সন্স টেক্সটাইলস লিমিটেড ৭৯ কোটি, ঝুমা এন্টারপ্রাইজ ৭৯ কোটি, এন এইচ কে ফেব্রিক্স অ্যান্ড টেক্সটাইল ৭৮ কোটি, গ্রান্ডেউর শিপিং লাইন্স লিমিটেড ৭৮ কোটি।
তিনি জানান, ২০১৫ সালে ঋণ খেলাপির সংখ্যা ছিল এক লাখ ১১ হাজার ৯৫৪ জন এবং তাদের কাছে প্রাপ্ত ঋণের অর্থের পরিমাণ ছিল ৫৯ হাজার ১০৫ কোটি টাকা।
‘২০১৮ সালে ঋণখেলাপির সংখ্যা বেড়েছে ৫৮ হাজার ৪৩৬ এবং খেলাপি অর্থের পরিমাণ বেড়েছে ৪৩ হাজার ২১০ কোটি ১৯ লাখ টাকা।’