পুলিশের বিতর্কিত ডিআইজি ও অবৈধ সম্পদ এবং মানি লন্ডারিং মামলার আসামি মিজানুর রহমানকে অবশেষে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর তার সাময়িক বরখাস্তের প্রজ্ঞাপন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জারি করেছে বলে মঙ্গলবার রাতে যুগান্তরকে নিশ্চিত করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। কী কারণ দেখিয়ে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
গত বছরের জানুয়ারিতে এক নারীকে জোর করে বিয়ের পর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ ওঠে মিজানের বিরুদ্ধে। এরপর তাকে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনারের পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। মিজানুরের বিরুদ্ধে এক সংবাদ পাঠিকাকে প্রাণনাশের হুমকি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ রয়েছে।
দুর্নীতির অনুসন্ধানে নেমে দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন— এমন অভিযোগের পক্ষে ঘুষ লেনদেনের অডিও কথোপকথন প্রকাশের পর সম্প্রতি আলোচনায় আসেন ডিআইজি মিজান। এ ঘটনার পরপরই বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এ ঘুষ কেলেঙ্কারি খতিয়ে দেখতে মিজান ও বাছিরকে আগামী ১ জুলাই দুদকে হাজির হতে বলা হয়েছে।
দ্বিতীয় বিয়ে গোপন করতে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ আছে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে। দ্বিতীয় স্ত্রী মরিয়ম আক্তারকে প্রভাব খাটিয়ে গ্রেফতার এবং এক সংবাদপাঠিকাকে যৌন হয়রানির অভিযোগও আছে এই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এ ছাড়া পুলিশের নিয়োগ, বদলিতেও একসময় ভূমিকা রাখতেন তিনি। গ্রেফতার ও মামলা দিয়ে হয়রানি করে টাকা আদায়ের অভিযোগও আছে মিজানের বিরুদ্ধে।
ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার ছিলেন ডিআইজি মিজান। সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনারও ছিলেন তিনি। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ছিলেন। পরে সেখান থেকে তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়।