আজ রবিবার (৩০ জুন) সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশন বসবে। আজই ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। আর আগামীকাল সোমবার (১ জুলাই) থেকে এটি কার্যকর হবে।
বাজেট প্রস্তাবের পর বিজিএমইএ’র কিছু প্রণোদনা বৃদ্ধি ছাড়া অন্য কোনো জোরালো প্রস্তাব ছিল না। সংসদে শক্তিশালী বিরোধী দল না থাকার কারণে সেখানেও জোরালো আলোচনা হয়নি। ফলে সরকারের মর্জি ও ব্যবসায়ীদের মৃদু দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কিছু সংশোধনী নিয়ে বাজেট আজ অনুমোদন হচ্ছে।
জুন মাসের ১৩ তারিখে উপস্থাপিত বাজেটের বিশেষ দিক অর্থমন্ত্রী প্রণীত ও প্রধানমন্ত্রী বাজেট পড়ে দেওয়া। অর্থমন্ত্রীর প্রণীত প্রথম জাতীয় বাজেটকে ২০৪১ সালের বাজেটের ভিত্তি হিসেবে তুলে ধরেছেন অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল; যে সময়ের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে নেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে আওয়ামী লীগ। অসুস্থতা নিয়েই গতকাল শনিবার সংসদ অধিবেশনে যোগ দিয়ে বাজেটের ওপর সমাপনী বক্তৃতায় তিনি বলেন, এই বাজেট শুধু একটি বছরের জন্য নয়। এই বাজেটটির ফাউন্ডেশন এই বছর, কিন্তু বাজেটের সুফল ২০৪১ সাল পর্যন্ত অর্জন করতে পারব। সেভাবে আমরা বাজেটটি প্রণয়ন করেছি। সে ধারাবাহিকতায় আজ পাস হচ্ছে বাজেট।
এবার বাজেটের জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৮ দশমিক ২ শতাংশ। নতুন বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ধরা হয়েছে ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা। ইতোমধ্যেই তা এনইসি বৈঠকে অনুমোদন করা হয়েছে।
২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বাড়ানো হয়েছে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে থাকা ১৪ শ্রেণির জনগোষ্ঠির পরিধি। এবার মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতা, অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপবৃত্তি, অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কার্যক্রম, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি, বেদে জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কার্যক্রম, হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কার্যক্রম, লিভার সিরোসিস, ক্যান্সার, কিডনি, স্ট্রোকে প্যারালাইজড ও জন্মগত হৃদরোগীদের আর্থিক সহায়তা, চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচি, গ্রামীণ দুঃস্থ মায়েদের মাতৃত্বকালীন ভাতা, কর্মজীবী মায়েদের সহায়তা তহবিল ও ভিজিডি কার্যক্রম বেড়েছে।