ক্রিকেটীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে এটা কেবলই একটা হার। বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩১ রানে হেরেছে ভারত। তবে ভারতের এই হারেই উঠেছে হাজার প্রশ্ন। আপাতত যার কোনো জবাব নেই কারো কাছেই। দায়িত্বশীলদের কৈফিরতটা মনের মতো হচ্ছে না খোদ ভারতবাসীর কাছেই।
বিস্ময় ধরে রাখতে পারেননি মাঠে উপস্থিত নাসির হুসেইন, সৌরভ গাঙ্গুলির মতো কিংবদন্তিরাও। ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক নাসির হুসেইন বলেন, আমি হতভম্ব। এখানে কি ঘটছে তা ব্যাখ্যার অতীত।
সৌরভ গাঙ্গুলি বলেন, ‘আমাকে যদি প্রশ্ন করো এখানে কি ঘটেছে? আমি বলবো জানি না। আমার কাছে এর কোনো ব্যাখ্যা নেই!’
শেষ ৫ ওভারে মহেন্দ্র সিং ধোনি ও কেদার যাদব নিলেন মাত্র ৩৯ রান। জয়ের জন্য দরকার ছিল ৭১ রান। জয়ের জন্য চেষ্টা না করে কেন এই শম্ভুক গতির ব্যাটিং?
শেষ ৫ ওভারে ছ্ক্কা একটিও। চার এসেছে কেবল তিনটি।
হার্দিক পান্ডিয়া ফেরার পরে কী কারণে ৪৫ নম্বর ওভার থেকেই হঠাৎই সিঙ্গলস নেওয়ার রাস্তায় চলে গেলেন ধোনি আর কেদার যাদব?
হার্দিক ও ঋষব পান্ট আউট হওয়ার পরে বিনা লড়াইয়ে কেন আত্মসমর্পণ করলেন ধোনি-কেদার?
এজবাস্টনের ছোট মাঠে ইংল্যান্ড গুণে গুণে ১৩ ছক্কা হাঁকালো,সেখানে ভারতের ছক্কা মাত্র একটা! সেটাও ইনিংসের শেষ ওভারে!
এই কি সেই ধোনি, যাকে ক্রিকেট বিশ্বের সেরা ফিনিশার মনে করা হয়?
ম্যাচের পর সৌরভ ব্যাখ্যা দেন, ‘এই প্রথম ইংল্যান্ডের মতো একটা শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে ভারত রান তাড়া করল; কিন্তু পারল না। এটা নিয়ে ভাবার আছে। ধোনি এতদিনের অভিজ্ঞ; কিন্তু পান্ডিয়া-রিশভরা যে জায়গায় ম্যাচটা ছেড়ে গেল, সেখান থেকে ধোনির বড় ভূমিকা নেওয়া উচিত ছিল। কেদার যাদব বোধহয় একটা বাউন্ডারি মেরেছে! যেখানে বিশাল রান দরকার। কোন গ্যাপ ব্যবহারই করতে পারল না তারা। অবাক হওয়ার মত।’