চলতি বিশ্বকাপে এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ম্যাচ-এ নিয়ে বিতর্কের অবকাশ নেই। একদিকে বিশ্বকাপের মতো সবচেয়ে বড় মঞ্চ তার ওপর ম্যাচটা ভারতের বিপক্ষে। কে না জানে, বিগত কয়েক বছরে ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথটা স্থানান্তর হয়েছে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে। বর্তমানে উপমহাদেশের এ দুই দল ‘কেউ কারে নাহি ছাড়ে সমানে সমান’। আজ তাই অন্যরকম এক ম্যাচ দেখবে বার্মিংহামের গ্যালারি।
বিশ্বকাপে যখন খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ, তখনও বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে সেই ভারত। অতীতের হিসাব-নিকাশ তো আছেই, সেই সঙ্গে বিশ্বকাপে টিকে থাকতে হলে জয় ছাড়া কোনও পথ খোলা নেই মাশরাফিদের সামনে। গত কয়েক বছরে ক্রিকেট বিশ্বের কাছে অন্যতম কাঙ্ক্ষিত ম্যাচ হয়ে ওঠা বাংলাদেশ-ভারত মুখোমুখি আরেকবার। বার্মিংহামের এজবাস্টনে আজ (মঙ্গলবার) বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় শুরু হবে উত্তেজনাকর লড়াইটি, সরাসরি দেখা যাবে গাজী টিভি, মাছরাঙা টেলিভিশন ও স্টার স্পোর্টস ওয়ান চ্যানেলে।
বাঁচা-মরার লড়াই জিতলে শেষ চারের আশা টিকে থাকবে বাংলাদেশের, হারলেই নিশ্চিত বিদায়। তখন পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটি নিছক আনুষ্ঠানিকতায় রূপ নেবে। ভারত ম্যাচের আগে ৭ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। চতুর্থ স্থানে থাকা ইংল্যান্ডের এক ম্যাচ বেশি খেলে ১০ পয়েন্ট।
বাংলাদেশকে জিততে হলে রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলিকে দ্রুত ফেরানোর বিকল্প নেই। গত কয়েক বছরের পরিসংখ্যান বলছে, টপঅর্ডারে শেখর ধাওয়ানের পাশাপাশি এ দুজন ভারতকে ধারাবাহিকভাবে টেনেছেন, টানছেন। তিন তারকা সাজঘরে ফিরলেই দলটি দুর্বল হয়ে যাচ্ছে।
ধাওয়ান না থাকায় দলটি আরও বিপদে পড়ে গেছে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই বিপদ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। গত দুই বছরে ভারত ৪-৬ নম্বরে মোট ১৪ জন আলাদা-আলাদা ব্যাটসম্যানকে খেলিয়েছে! তবু এই পজিশনে শক্তি ফেরেনি। ভারতের টপঅর্ডার ভালো না করলে চাপ পড়ছে হার্দিক পান্ডিয়া এবং মহেন্দ্র সিং ধোনির ওপর। এ দুজনকে নিয়েও সতর্ক থাকতে হবে বাংলাদেশকে। পান্ডিয়া প্রতিদিন কিছু না কিছু রান করে যাচ্ছেন। ধোনি আগের মতো সাবলীলভাবে ব্যাট করতে না পারলেও বাংলাদেশি বোলারদের চিন্তার কারণ হতে পারেন।
বাংলাদেশ এভাবে কতটুকু চাপ প্রয়োগ করতে পারবে, সেটি নিয়ে অবশ্য শঙ্কা আছে। কারণ প্রথম স্পেলে চলতি বিশ্বকাপে বাংলাদেশি বোলার বিশেষ করে পেসারদের পারফরম্যান্স যারপরনাই খারাপ। ৬ ম্যাচে পেসাররা এখনো পর্যন্ত নিতে পেরেছেন ২৪ উইকেট; যার মধ্যে নতুন বলে উইকেট এসেছে কেবল একটি!