আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পুনর্বিন্যাস নয়, মন্ত্রিসভা সম্প্রসারিত (আকার বৃদ্ধি) হতে পারে। তবে এটা সম্পূর্ণই প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। চীন সফর শেষে তিনি দেশে ফিরে এলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম ও সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
গতকাল সোমবার দুপুরে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
এ সময় ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, বরগুনায় রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা সরকারি দলের হলেও রেহাই পাবে না। সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রিফাত হত্যাকাণ্ডের পর এরই মধ্যে ৯ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। আমার বিশ্বাস, বাকিরাও অচিরেই গ্রেপ্তার হয়ে যাবে। গ্রেপ্তারের জন্য সিরিয়াসলি অভিযান চলছে। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যে বা যারাই জড়িত, তারা যদি সরকারি দলেরও কেউ হয়; রেহাই পাবে না। এটা পুলিশকে জানানো হয়েছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সরকারের এটিচিউড জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
সমন্বয় করতেই গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কেবল মূল্য সমন্বয়ের জন্যই গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। মূল্য সমন্বয়ের পরও এ খাতে সরকারকে ভর্তুকি দিতে হবে। গ্যাসের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) পরিবেশকদের লোকসান হচ্ছে, এমন দাবির প্রেক্ষিতে গ্যাসের মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় স্বাধীনতা বিরোধীদের পরিবারের সদস্যরা যুক্ত হতে পারবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ ব্যাপারে অবস্থান একেবারেই স্পষ্ট। স্বাধীনতাবিরোধী, সাম্প্রদায়িক কাউকে স্থানীয় সরকার ও জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন দেইনি। তার মানে হচ্ছে এদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত থেকে আমরা এখনো সরে আসিনি। ২১ জুলাই থেকে সদস্য সংগ্রহ করা হবে বলে তিনি জানান।
সরকার জঙ্গিবাদ নিয়ে আতঙ্কে আছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘জঙ্গিবাদ নিয়ে সরকার আতঙ্কিত নয়, সতর্ক আছে।’ বরগুনায় রিফাত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতরা সরকারি দলের হলেও রেহাই পাবে না জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যে বা যারাই জড়িত, তারা যদি সরকারি দলেরও কেউ হন; রেহাই পাবে না।