গাজীপুরের শ্রীপুরে অটো স্পিনিং মিলের আগুনের ঘটনায় আরও তিনজনের অঙ্গার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হলো। বুধবার ভোর ৪টার দিকে ওই কারখানা থেকে একে একে তিনটি অঙ্গার দেহ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে লাগা আগুনে কারখানার নিরাপত্তাকর্মী রাসেল মারা যান। এ ঘটনায় চার শ্রমিক নিখোঁজ ছিলেন। বুধবার ভোরে কারখানার ভেতর থেকে আরও তিনটি লাশ উদ্ধার করা হয়। এনিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো চারজন।
নিহত রাসেল (৩৬) ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার উলুল গ্রামের আলাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি কারখানা কোয়ার্টারে থেকে নিরাপত্তাকর্মীর কাজ করতেন।
নিখোঁজ শাহজালালের ভগ্নিপতি ইমরান জানান, পুড়ে যাওয়া লাশগুলো চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে শাহজালাল যে কক্ষে কর্মরত ছিল ওই কক্ষের পাশ থেকে একটি লাশ উদ্ধার হওয়ায় ধারণা করছি এটাই শাহজালালের লাশ।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহমুদ হাসান জানান, তাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আগুনে পোড়ার দাগ রয়েছে।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে কারখানার গুদাম থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। তখন থেকে কারখানার নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুর হয়। খবর পেয়ে গাজীপুর শ্রীপুর ও ভালুকার সাতটি ইউনিট একযোগে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে। আগুনে গুদামে থাকা তুলা ও অন্যান্য মালামাল পুড়ে গেছে।
তিনি আরও জানান, পানি সংকট ও কারখানার অভ্যন্তরীণ রাস্তার সংকীর্ণ হওয়াতে আগুন নেভাতে কিছুটা বেগ পেতে হয়। এ ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিক জানা সম্ভব হয়নি।
গাজীপুর ফায়ার স্টেশনের উপ-সহকারী পরিচালক আক্তারুজ্জামান জানান, শ্রীপুর, জয়দেবপুর ও ভালুকা ফায়ার স্টেশনের ১০টি ইউনিটের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করেছে।
কারখানার মহা-ব্যবস্থাপক হারুন অর রশিদ গোডাউনে মজুদকৃত তুলার পরিমাণ ও দাম কিছুই জানাতে পারেননি। আগুন লাগার সঠিক কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি সেটিও জানাতে পারেননি। তবে তিনি জানান, কারখানার নিজস্ব অগ্নি নির্বাপনের ব্যবস্থা সচল ছিল।
শ্রীপুর ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার রাম প্রসাদ পাল বলেন, দুপুর আড়াইটার দিকে অটোস্পিনিং মিলের তুলার গুদামে অগ্নিকাণ্ডের খবর পান। পরে শ্রীপুর ফায়ার স্টেশন থেকে তিনটি এবং ভালুকা ফায়ার স্টেশনের তিনটি ইউনিটের কর্মীরা গিয়ে আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেন। আগুনে গুদামে থাকা তুলা ও অন্যান্য মালামাল পুড়ে গেছে। আগুনের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।