চীনের প্রধানমন্ত্রী লি খ্য ছিয়াংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা থেকে বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে প্রায় আধা ঘণ্টা এ বৈঠক চলে। বৈঠকের পর দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে দুদেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে সই হয়।
বেলা পৌনে ১১ টার দিকে শেখ হাসিনা গ্রেট হল অব দ্য পিপলে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান লি খ্য ছিয়াং।
তিয়েনআনমেন স্কয়ারে গ্রেট হলের সামনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এরপর সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল তাকে গার্ড অব অনার দেয়। তোপধ্বনির পর সুসজ্জিত একটি বাদক দল দুই দেশের জাতীয় সংগীত বাজিয়ে শোনায়। অভ্যর্থনার আনুষ্ঠানিকতা শেষে শুরু হয় বৈঠক।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন তার মেয়ে বাংলাদেশের অটিজম বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদ হোসেন। এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম আছেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ।
এবার চীনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বাণিজ্য-বিনিয়োগের পাশাপাশি বাংলাদেশের তরফ থেকে রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধানের বিষয়টিতে প্রাধান্য দেওয়া হবে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এর আগে জানিয়েছিলেন।
এর আগে দালিয়ান থেকে বুধবার (৩ জুলাই) এয়ার চায়নার একটি চার্টার্ড প্লেনে প্রধানমন্ত্রী বেইজিংয়ে পৌঁছান। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেইজিংয়ের সফরকালীন আবাসস্থল ডিয়াওইউতাই স্টেট গেস্ট হাউজে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী। পরে বিকেলে প্রবাসী বাংলাদেশিদের এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।
শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেলে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাতে চীনা প্রেসিডেন্টের দেওয়া নৈশভোজে অংশ নেবেন তিনি।