দেশের বৃহত্তম প্রকল্প পদ্মা সেতুর পাইল বাসানোর কাজ শেষ হয়েছে। গত রোববার রাত ৮টায় সেতুর ২৯৪তম পাইল বসানোর মধ্য দিয়ে এ কাজ শেষ হয়। এর আগে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে বহুল আলোচিত পদ্মা সেতুতে পাইল বসানোর কাজ শুরু হয়। নির্ধারিত সময়ের প্রায় ১৬ দিন আগে পাইল বসানোর কাজ শেষ হলো।
তথ্য অনযায়ী, তিন মিটার পরিধির একেকটি পাইল নদীর ১২০ মিটার গভীরে স্থাপন করা হয়েছে। তীব্র খরস্রোতা নদীতে পদ্মা সেতুর পাইলের ওপর পিলার একশ’ বছরের বেশি টিকে থাকে সে লক্ষ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ গুরুত্ব ও তদারকিতে পাইলগুলো স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের তথ্যানুযায়ী, মূল সেতুর নির্মাতা চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানিকে পাইল বসানোর কাজ দেওয়া হয়েছিল। পাইল বসাতে চলতি বছরের ৩১ জুলাই পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হলেও নির্ধারিত সময়ের ১৬ দিন আগেই কাজ শেষ হলো।
নির্মাণ কাজের শুরুতে ২৬৪টি পাইলের ওপর ৪২টি পিলার তৈরির নকশা করা হয়। কিন্তু নদীর গভীর তলদেশে কাদামাটির স্তর ও গঠনগত বৈচিত্র্য থাকায় নতুন নকশা করতে হয়। এ নকশায় ১ ও ৪২ নম্বর পিলারে ১৬টি করে মোট ৩২টি পাইল করা হয়। আর ২২টি পিলারে ৭টি করে মোট পাইল ১৫৪টি এবং ১৮টি পিলারে ছয়টি করে মোট ১০৮টি পাইল রাখা হয়। সব মিলিয়ে ৪২টি পিলারে পাইল রাখা হয়েছে ২৯৪টি।
এদিকে, ২৯৪টি পাইলের পাশাপাশি এরই মধ্যে ৩০টি পিলার তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। সেতুর মোট ৪২টি পিলারের ওপর বসানো হবে ৪১টি স্প্যান। এর মধ্যে কয়েক ভাগে ১৪টি স্প্যান বসানোর মাধ্যমে বর্তমানে পদ্মা সেতুর ২ হাজার ১০০ মিটার দৃশ্যমান হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি দোতলাবিশিষ্ট হবে। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এই সেতুর কাঠামো। মূল সেতু নির্মাণ ও নদী শাসনে কাজ করছে চীনা দুই প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) এবং সিনো হাইড্রো করপোরেশন। পদ্মা সেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা।