উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের শোকজ ও দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। সেইসঙ্গে নৌকা প্রতীকের বিরোধী মন্ত্রী, এমপি ও নেতাদেরও শোকজ করার প্রস্তুতি রয়েছে।
একই সঙ্গে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না- তা জানতে চেয়ে পাঠানো হচ্ছে ‘শোকজ’ নোটিশ। এছাড়া সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের শতাধিক নেতা উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন।
তাদেরও শাস্তির আওতায় আনতে সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশ দেয়া হবে। তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত দলে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতেই মূলত এই কঠোর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীনরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শনিবার বলেন, ২০ জুলাই আমাদের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা আছে।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের দৃষ্টিতে, বেশ কয়েকটি উপজেলা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে মন্ত্রী, এমপিসহ দলের কয়েকজন স্থানীয় নেতার প্রকাশ্য বিরোধিতার কারণে প্রত্যাশিত ফল পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে দলের ভেতরে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা দলের নীতিনির্ধারক নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে কয়েকটি উপজেলা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া মন্ত্রী ও এমপিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। কেউ কেউ এ বিষয়ে দালিলিক প্রমাণ উপস্থাপন করেছেন। অনেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে অভিযোগপত্রও জমা দেন।