ভয়াবহ রূপ নিয়েছে ডেঙ্গু

0
180

রাজধানীর সরকারি-বেরসকারি হাসপাতালগুলোর কেবিন, ওয়ার্ড, বারান্দাসহ সব জায়গায়ই ডেঙ্গু রোগী ভর্তি। চলতি মাসে ডেঙ্গুর প্রকোপ আশঙ্কাজনকহারে বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালে রোগীদের ঠাঁই হচ্ছে না, মিলছে না সিট। দিন দিন ডেঙ্গু পরিস্থিতি জটিল রূপ ধারণ করেছে। ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৫৬০ জন। অর্থাৎ ঘণ্টায় ২০ জন। এবার ডেঙ্গুর লক্ষণ ভিন্ন হওয়ায় বাড়ছে প্রাণহানির আশঙ্কা।

উচ্চতাপমাত্রার জ্বর, তীব্র ব্যথা না থাকায় চিকিৎসকের কাছে যেতে যেমন দেরি হচ্ছে, তেমনি চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়েও অস্পষ্টতায় আছেন চিকিৎসকরা। এ ছাড়া ঢাকার বাইরেও ডেঙ্গুর সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। যশোরে শনাক্ত হয়েছে ১২ রোগী। চট্টগ্রামে শনাক্ত হয়েছে ৩১ রোগী। ওখানকার জেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেছেন, রোগীরা ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়েছে।

সরকারি হিসাবে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৫৬০ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চলতি জুলাই মাসেই আক্রান্ত হয়েছে ৬ হাজার ৪২১ জন। আর এবছর আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজার ৫৬৫ জন। সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মারা যাওয়ার হিসাব আটজন দিলেও বেসরকারি হিসাবে এই সংখ্যা অন্তত ২৮ ছাড়িয়ে যাবে। বেসরকারি হিসাবে আক্রান্তের সংখ্যা আরও কয়েকগুণ বেশি হবে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।

ঢাকার বাইর থেকে ১৭৯ জন আক্রান্তের খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এদিকে, ডেঙ্গু ক্রমেই ভয়ঙ্কর রূপ নেয়ায় জ্বর হলে ডেঙ্গু আতঙ্ক নিয়ে হাসপাতালে ছুটছেন রোগীরা। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ঠাঁই মিলছে না অনেক রোগীর।

এক প্রশ্নের জবাবে ডা. পঙ্কজ বলেন, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর প্রথমে জ্বর ১০১ থেকে ১০২ ডিগ্রি পর্যন্ত থাকবে। এর সঙ্গে শরীর ব্যাথা, মাথা ও চোখে ব্যাথা অনুভূত হবে। এছাড়াও ডেঙ্গুর নতুন লক্ষণ হচ্ছে জ্বর না হয়ে শরীর ব্যাথা এবং এর সঙ্গে ব্যাক পেইন হচ্ছে।

এ ব্যাপারে চিকিৎসকদের পরামর্শ হলো ডেঙ্গু মশার বংশ বিস্তার রোধ করতে হবে। এক্ষেত্রে মশা নিধনের ওষুধ ছিটিয়ে দিতে হবে। বাসা-বাড়িতে ফুলের টব বা কন্সট্রাকশনের কাজ চলছে এমন স্থানে মশার বংশ বিস্তার বন্ধ করতে হবে। বৃষ্টির দিন হওয়ায় মশা বৃদ্ধির হার বাড়বে, তবে তা নিধনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here