মশা নিধনে আজই বিদেশি ওষুধের নমুনা বিশেষ বিমানে দেশে আসছে বলে হাইকোর্টকে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আইনজীবীরা। আজ বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চকে এ তথ্য জানান তাঁরা।
আইনজীবীরা আদালতকে বলেন, ওই নমুনা ওষুধের কার্যকারিতার ওপর প্রাথমিক পরীক্ষা চালানো হবে মহাখালীর একটি ল্যাবরেটরিতে। তবে হাইকোর্ট বলেছেন, যখন মশার প্রকোপ শুরু হয়েছে, তখন কেন ব্যবস্থা নেননি? মশা নিধনে দুই সিটি করপোরেশন সম্পূর্ণ ব্যর্থ।
এদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের সিটি কর্পোরেশন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সব সরকারি সংস্থাগুলো একযোগে কাজ করছে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আমরা আমাদের মন্ত্রণালয়ের সবার ঈদের ছুটি বাতিল করেছি। আশা করছি, খুব অল্প দিনের মধ্যে আমরা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে পারব।’
তিনি বলেন, আর কয়েকদিন পরেই ঈদ। আর ঈদের সময় অনেক ডেঙ্গু রোগী বাড়িতে যাবে। এ সময় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কোনো সরকারি হাসপাতালে গিয়ে কোনো রোগী ডেঙ্গুর চিকিৎসা পায়নি, এমনটা হয়নি। ডাইজেস্টিভ ইনস্টিটিটিউট, বার্ন ইনস্টিটিউটের মতো কিছু কিছু হাসপাতাল আছে, যেগুলো উদ্বোধন করা হলেও চিকিৎসাসেবা এখনও শুরু হয়নি। দেশে যদি ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ে এবং সরকারি হাসপাতালে যদি রোগী না ধরে, তাহলে আমরা এসব হাসপাতালে রোগী রাখার ব্যবস্থা করব। কেননা এসব হাসপাতালে শয্যার ব্যবস্থা রয়েছে।’
এরপর তিনি মিডফোর্ট হাসপাতালের ১০০ শয্যার ৪টি ডেঙ্গু ওয়ার্ড উদ্বোধন করেন। ৩-৪ জন রোগীর সঙ্গে কথা বলেন।
এ সময় সাংবাদিকরা তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলেও তিনি কোনো কথা না বলে চলে যান।
দেশের ডেঙ্গু প্রকোপ রোধে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঈদের ছুটি বাতিল করে খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিদেশ ভ্রমণে যাওয়ায় তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতেও চলে ব্যাপক তোলপাড়। তবে চলমান জরুরি পরিস্থিতিতে ভ্রমণ সংক্ষিপ্ত করে গতকাল রাতেই দেশে ফেরেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।