আফগান স্পিনারদের ঘূর্ণির সামনে দাঁড়াতেই পারছে না বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। একের পর এক উইকেট বিলিয়ে সাজঘরে ফিরে যাচ্ছেন দলের মূল তারকা ব্যাটসম্যানরা। প্রথম ইনিংসে কোনো রান করতে না পারা সাদমান ইসলাম ভরসা দিচ্ছিলেন দ্বিতীয় ইনিংসে। ১১৪ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের সাথে। কিন্তু আবারো সেই আফগান স্পিন। অভিজ্ঞ মোহাম্মাদ নবীর বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পরে উইকেট দিয়ে বিদায় নেন সাদমান। ব্যাটিংয়ে নেমেছেন আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
এর আগে আফগান স্পিনার রশিদ খানের ঘূর্ণিতে দ্রুতই সাজঘরে ফিরে গেছেন মিডল অর্ডারে দুই নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহীম ও মুমিনুল হক। দলীয় ২৪তম ওভারের প্রথম বলে রশিদের ডেলিভারিতে এলবি হন মুশফিকুর রহিম (২৩)। এক ওভার পরে সেই রশিদের শিকার হয়েই (৩) মাঠ ছাড়েন মুমিনুল হক।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত টাইগারদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১২২ রান।মাহমুদুল্লাহ ৫ রান ও সাকিব আল হাসান ২৭ রানে ব্যাট করছেন।
আগের ম্যাচে মুমিনুল ফিফটি করেছিলেন। বড় ইনিংসের প্রত্যাশা ছিল তার কাছ থেকে। সেই মুমিনুলও ধরাশায়ী হয়েছেন রশিদ খানের স্পিনে। তাকে বিদায় নিতে হয়েছে ৩ রানে। সাকিব ক্রিজে থাকলেও অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন তিনি। ৩২তম ওভারে রশিদ খানের বলে ফিরতি ক্যাচের সুযোগ দিয়েছিলেন। রশিদ খান তালুবন্দী করতে পারেননি সেই ক্যাচ।
তার আগে সকালে ৮ উইকেটে ২৩৭ রানে দিনের খেলা শুরু করলেও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি আফগানদের দ্বিতীয় ইনিংস। তড়িঘড়ি রান তুলতে গিয়ে সফরকারীরা গুটিয়ে যায় ২৬০ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে সাকিব ৫৮ রানে তিনটি উইকেট নিয়েছেন। দুটি করে নিয়েছেন মেহেদী মিরাজ, তাইজুল ইসলাম ও নাঈম হাসান।
এই টেস্ট জিততে অগ্নিপরীক্ষার মুখোমুখি এখন বাংলাদেশ। রান তাড়া করে জিততে হলে রেকর্ড গড়তে হবে স্বাগতিকদের। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ২১৫ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড আছে তাদের। তাই এই টেস্ট জিততে হলে নতুন রেকর্ড গড়তে হবে।
আবার সার্বিকভাবে টেস্টে এত বিশাল রান তাড়া করে জেতার নজিরও খুব বিরল। সর্বোচ্চ ৪১৮ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ডটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২০০২-০৩ সালে। ১৯৪৮ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪০৪ রান তাড়া করে এই রেকর্ডের তালিকায় পরেই আছে অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় অবস্থানে ভারত। তারা ১৯৭৫-৭৬ সালে ৪০৩ রান তাড়া করে জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।