কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কমিটিতে কোনো সংযোজন, বিয়োজন, পরিবর্তন, পরিবর্ধনের প্রশ্ন এলে সেটা সরাসরি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই করবেন বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ছাত্রলীগের আগাম সম্মেলনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আগাম সম্মেলনের কোনো সিদ্ধান্ত পাইনি। এটি দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। পুরোপুরিভাবে নেত্রী নিজেই দেখেছেন। তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন, দলের চারজনকে ছাত্রলীগের বিষয়টি দেখাশোনার দায়িত্ব দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আমি সব সময় ভালো কাজের প্রশংসা করি। দলের ভেতরে কোনো আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গ হলে বা খারাপ কাজ হলে কাউকে তিরস্কার করতে হয় আমি তার পক্ষে, ভালো কাজের পুরস্কারও দেওয়া উচিত এবং খারাপ কাজের তিরস্কার। ছাত্রলীগের বিষয়টি নেত্রী দেখছেন।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, গত শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) গণভবনে এক যৌথসভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে বিরক্তি ও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এক পর্যায়ে তিনি ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটি ভেঙে দেওয়ারও নির্দেশ দেন।
এসময় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য গণভবনে গিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। তবে প্রধানমন্ত্রী তাদের সঙ্গে দেখা না করায় আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের পরামর্শে তারা সেখান থেকে বাড়ি ফিরে যান।আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, ওই সভায় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সম্পর্কে নানা অভিযোগ তোলেন উপস্থিত নেতারা।