রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে যুক্ত হওয়া অত্যাধুনিক প্রযুক্তির চতুর্থ ও শেষ ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ বিমানের বহরে চতুর্থ বোইং ৭৮৭/৮ ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’ (বিজি-৫০০৪) উড়োজাহাজটি দেশে পৌঁছায়। এটি জাতীয় পতাকাবাহী ১৬তম বিমান। বিমানটি যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলের বিমান কারখানা থেকে ওইদিনই বিকেলে সরাসরি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ২০০৮ সালে মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে ১০টি নতুন বিমান ক্রয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়। ইতিমধ্যে চারটি নতুন বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, দুটি নতুন বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ও তিনটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ বিমানবহরে যুক্ত হয়েছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে যুক্ত হতে যাওয়া চারটি ড্রিমলাইনারের নাম পছন্দ ও বাছাই করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এগুলো হল- আকাশবীণা, হংসবলাকা, গাঙচিল ও রাজহংস। এর আগে ৪টি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, ২টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ইআরের নামও প্রধানমন্ত্রীর দেয়া যথা- পালকী, অরুণ আলো, আকাশ প্রদীপ, রাঙা প্রভাত, মেঘদূত ও ময়ূরপঙ্খী।
রাজহংস’র আসন সংখ্যা ২৭১টি। বিজনেস ক্লাস ২৪টি আর ২৪৭টি ইকোনমি ক্লাস। বিমানটিতে যাত্রীরা অন্যান্য আধুনিক সুবিধা, ইন্টারনেট ও ফোন কল করার সুবিধাও পাবেন। টানা ১৬ ঘণ্টা উড়তে সক্ষম এই ড্রিমলাইনার চালাতে অন্যান্য বিমানের তুলনায় ২০ শতাংশ কম জ্বালানি ব্যয় হবে। এটি যুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে বিমান বহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা এখন ১৬টি।