প্রায় দুই সপ্তাহের পথ পেরিয়ে শেষের খুব কাছে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ। আজ টুর্নামেন্টের ফাইনালে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। কে উঁচিয়ে ধরবেন ট্রফি- বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান না আফগানিস্তানের রশিদ খান?
জবাব মিলবে রাতেই। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরু হবে যথারীতি সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়।
সাম্প্রতিক সময়ে উল্টোরথে চলছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের চাকা। শুরুটা স্বপ্নভঙ্গের বিশ্বকাপ দিয়ে। বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশ ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়ে এসেছে শ্রীলঙ্কা থেকে। এরপর দেশের মাটিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে অসহায় আত্মসমর্পণ করে হার।
এই ফরম্যাটে আফগানরা সন্দেহাতীতভাবে এগিয়ে বাংলাদেশের চেয়ে। টি-টোয়েন্টিতে টানা চার ম্যাচ হারের পর গত ২১ সেপ্টেম্বর রশিদ খানের দলকে হারাতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে পাওয়া ঐ জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়েই আজকের ফাইনালে মাঠে নামবে স্বাগতিকেরা।
আফগানদের সমীহ করলেও বাংলাদেশের কোচ রাসেল ডমিঙ্গো আত্মবিশ্বাসী ফাইনাল বিজয়ে। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘আফগানিস্তান অবশ্যই ভালো দল। তবে আমরা জানি, নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেললে আমরা যে কোনো দলকে হারাতে পারি। আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হবে আমাদের স্কিল ও মানসিকতা এক বিন্দুতে মেলাতে পারা, যেন আফগানিস্তানের মতো দলকে হারাতে পারি।’
ইনজুরির কারণে লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের খেলা হচ্ছে না আজ। গতকাল এই তরুণ নিজেই বলেছেন, হাতের সেলাই খোলা হবে দুই দিন পর। কোচ ডমিঙ্গোও হাফ ফিট কাউকে একাদশে রাখতে চান না।
গতকাল সন্ধ্যায় দল সূত্রে জানা গেছে, আজ বাংলাদেশের একাদশে পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। উইনিং কম্বিনেশন ধরে রেখেই ফাইনালে নামবে বাংলাদেশ।
অবশ্য পেস বোলিংয়ের বিপক্ষে আফগান ব্যাটসম্যানদের অনভ্যস্ততার সুযোগ কাজে লাগাতে একাদশে চার পেসার রাখার পক্ষে কোচ ডমিঙ্গো।
টানা দুই ম্যাচ হারলেও হতোদ্যম নয় আফগানরা। হ্যামস্ট্রিংয়ের কারণে একটু অনিশ্চয়তা থাকলেও রশিদ খানের খেলার সম্ভাবনাই বেশি। গতকাল আফগান অধিনায়ক বলেছেন, ফাইনাল বিজয়ে শতভাগ নিংড়ে দিতে চান তারা।
উইকেট, একাদশ যা-ই হোক, বহুজাতিক সিরিজে আরেকটি ট্রফি জিততে হলে আজ আফগানদের বিপক্ষে সামর্থ্যের সেরাটাই খেলতে হবে সাকিব বাহিনীকে।